ইইউ থেকে গোশত-দুগ্ধজাত পণ্য যুক্তরাজ্যে নিতে পারবেন না

ইনকিলাব ডেস্ক :

১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২ এএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২ এএম

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে ঘুরতে যাওয়া যুক্তরাজ্যে বাসিন্দারা গোশত ও দুগ্ধজাত পণ্য নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারবেন না। ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ প্রতিরোধে ব্যক্তি উদ্যোগে এসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। এতে হতাশ হবেন দেশটির ভোজনরসিক মানুষ যারা ইইউর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে তাদের প্রিয় কিছু খাবার দেশে নিয়ে আসতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইইউতে ছুটি কাটাতে যাওয়া ব্যক্তিরা দেশে ফেরার সময় গরু, ভেড়া, ছাগল বা শূকরের গোশত এবং দুগ্ধজাত পণ্য গ্রেট ব্রিটেনে আনতে পারবেন না। এমনকি পনির বা হ্যাম (প্রক্রিয়াজাত শূকরের গোশত) দিয়ে তৈরি স্যান্ডইউচও আনা যাবে না। তবে নিরাময়কৃত মাংস, কাঁচা মাংস এবং দুধ আনা যাবে। স্থানীয় সময় শনিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজের বিস্তার রোধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ সরাসরি মানুষকে আক্রান্ত না করলেও গবাদিপশুর ক্ষেত্রে এর প্রভাব ধ্বংসাত্মক। এটি একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা গবাদিপশু, ভেড়া, শূকর এবং অন্যান্যক্ষুরযুক্ত প্রাণীর ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যুক্তরাজ্যে এখনো এই রোগে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি। আর কর্তৃপক্ষ এটাকেই সেভাবেই রাখতে চায়। দেশটির পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউরোপে এই রোগের বিস্তার খামার ব্যবসা ও গবাদিপশুর জন্য একটি মারাত্মক ঝুঁকি। এ বছরের শুরুতে জার্মানি, হাঙ্গেরি, সেøাভাকিয়া এবং অস্ট্রিয়া থেকে গবাদি পশু, ভেড়া, শূকরের মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে শনিবার কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞা শুধু ইউরোপে ঘুরতে যাওয়া যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে। ব্রিটিশ খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রী ড্যানিয়েল জেইচনার বলেছেন, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ থেকে ব্রিটিশ কৃষকদের ক্ষতি রোধ করতে যা যা করণীয় এই সরকার তা করবে। সেই কারণেই আমরা ব্যক্তিগতভাবে মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে সুরক্ষা জোরদার করেছি। সরকার বলছে, যাদের কাছে নিষিদ্ধ এই পণ্য পাওয়া যাবে, সেটা বিমানবন্দরে কিংবা ইমিগ্রেশনে জমা দিতে হবে। নতুবা সেগুলো জব্দ করে ধ্বংস করা হবে। গুরুতর ক্ষেত্রে বহনকারীকে ৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। বিবিসি।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক