ড্রোন, উপগ্রহের রমরমার যুগেও কেন নজরদারিতে বেলুন ব্যবহার?

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪১ এএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম

যুগটা প্রযুক্তির। অন্য সব ক্ষেত্রের মতো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে উপগ্রহ বা ড্রোনের সাহায্যেই চালানো হয় নজরকারি। কিন্তু গত সপ্তাহ তিনেক ধরে চীন, রাশিয়া কিংবা আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলি নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়েছে বেলুনকে কেন্দ্র করে! যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন। কেন প্রযুক্তির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশগুলি বেলুনের সাহায্যে নজরদারি চালাতে চাইছে?

এর কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে প্রথমেই যে দিকটি উঠে আসবে তা হল এর উচ্চতা। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে বেলুনকে যুদ্ধের সময় ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। আসলে মাটি থেকে ২৪ হাজার থেকে ৩৭ হাজার মিটার উচ্চতায় ওড়ানো যায় বেলুনকে। অত উঁচুতে থাকায় চট করে সেটার দিকে নজর পড়া বেশ কঠিন। ফলে নির্বিঘ্নে গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে গেলে বেলুন নিঃসন্দেহে একটা খুব ভাল ‘চয়েস’ আজও।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মার্কিন সেনা এ ধরনের অনেক উঁচু দিয়ে ওড়া বেলুনের ব্যবহার শুরু করে। ‘প্রোজেক্ট জেনেটিক্স’ নামে পরিচিত ছিল সেই নজরদারি। ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে রাশিয়ার উপরে নজর রাখতে বেলুনেই ভরসা করত সেযুগের মার্কিন প্রশাসন। এছাড়াও খরচও একটা বড় ব্যাপার। একটা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা, সেটার দেখভাল করা প্রভূত ব্যয়সাধ্য। সেদিক থেকে দেখলে বেলুন অনেক সস্তা। এর নির্মাণ খরচ যেমন অল্প, তেমনই একে নিয়ন্ত্রণ করতেও বিশেষ খরচ নেই।

আর ড্রোনের বিষয়ে বলা যায়, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এর গুরুত্ব যতই বাড়ুক মাটি থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ হাজার মিটারের বেশি উঁচুতে একে ওড়ানো যায় না। অন্যদিকে বেলুনকে সর্বোচ্চ ৩৭ মিটার উচ্চতায় ওড়ানো যায়। তাই অন্য সব দিক দিয়ে যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, বেলুন কিন্তু এই দিকগুলিতে দশ গোল দিচ্ছে উপগ্রহ ও ড্রোনকে। সূত্র: টাইমস নাউ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


আরও পড়ুন

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বদলেযেতে পারে ২০২৪ সালে

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বদলেযেতে পারে ২০২৪ সালে

মেক্সিকোতে শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী অগ্নিকা-ে মৃত অন্তত ৪০

মেক্সিকোতে শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী অগ্নিকা-ে মৃত অন্তত ৪০

বিতর্কে নারী ডিসি-ইউএনও

বিতর্কে নারী ডিসি-ইউএনও

মামলার আগেই র‌্যাব গ্রেফতার করতে পারে কি না -প্রশ্ন হাইকোর্টের

মামলার আগেই র‌্যাব গ্রেফতার করতে পারে কি না -প্রশ্ন হাইকোর্টের

সুলতানার মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি করেছে র‌্যাব

সুলতানার মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি করেছে র‌্যাব

ওলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে

ওলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে

রমজানে গোশত নিম্নবিত্তের নাগালে নেই

রমজানে গোশত নিম্নবিত্তের নাগালে নেই

বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমছে না তেলের দাম

বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমছে না তেলের দাম

তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু হচ্ছে

তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু হচ্ছে

বিএনপিকে সংলাপ নয়, আলোচনার জন্য ডেকেছি

বিএনপিকে সংলাপ নয়, আলোচনার জন্য ডেকেছি

সৌদিতে নিহত ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ২ জনের বাড়ী কুমিল্লা

সৌদিতে নিহত ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ২ জনের বাড়ী কুমিল্লা

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

বিএনপি নেতাদের বিবেক-বুদ্ধি-চক্ষুলজ্জা হারিয়ে গেছে

বিএনপি নেতাদের বিবেক-বুদ্ধি-চক্ষুলজ্জা হারিয়ে গেছে

ঢাবি ছাত্রীদের মুখম-ল খোলা রাখার নোটিশ হাইকোর্টে স্থগিত

ঢাবি ছাত্রীদের মুখম-ল খোলা রাখার নোটিশ হাইকোর্টে স্থগিত

লেপার্ড ট্যাঙ্কের প্রথম চালান পেল ইউক্রেন

লেপার্ড ট্যাঙ্কের প্রথম চালান পেল ইউক্রেন

আফগান শরণার্থীদের হোটেল থেকে উচ্ছেদ করবে ব্রিটেন!

আফগান শরণার্থীদের হোটেল থেকে উচ্ছেদ করবে ব্রিটেন!

এই তাসকিন দেখেন শীর্ষ দল হওয়ার স্বপ্ন

এই তাসকিন দেখেন শীর্ষ দল হওয়ার স্বপ্ন

চীনের পাশেই থাকছে পাকিস্তান

চীনের পাশেই থাকছে পাকিস্তান

পেলে, ম্যারাডোনার পাশে মেসিও

পেলে, ম্যারাডোনার পাশে মেসিও