ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১৬ চৈত্র ১৪২৯

দীর্ঘ লড়াইয়ে বাখমুত এখন ধ্বংসস্তূপ, ভূতুড়ে নগরীতে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৫ মার্চ ২০২৩, ১০:১৮ এএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম

দীর্ঘস্থায়ী এ লড়াইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই পক্ষেরই। হয়েছে বিপুল প্রাণহানি। কিয়েভের দাবি, চলমান যুদ্ধে বাকি ফ্রন্টলাইনে যত সৈন্য হারিয়েছে রাশিয়া বাখুমতেই মৃত্যু হয়েছে তার সাতগুণ। প্রাণ গেছে শহরটির অনেক বেসামরিক নাগরিকের।

দোনবাস অঞ্চলের শিল্পনগরী বাখমুত মূলত পরিচিত লবন ও জিপসাম খনির জন্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে পুরো দোনবাস দখল করা অনেকটাই সহজ হবে রাশিয়ার জন্য। আর এ কারণেই শহরটি দখলে নিতে এতটা মরিয়া পুতিন।

চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহতার শিকার হয়েছে বাখমুত। শহরটিতে গত বছরের আগস্টে শুরু হয় সংঘর্ষ। এরইমধ্যে গোটা নগরী পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ। বিপুল সৈন্য হারিয়েছে দুই দেশই। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া রাশিয়া। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে ইউক্রেনও। আর তাতেই শহরটিতে চলেছে তাণ্ডব। খবর রয়াটার্সের।

এ যেনো ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন কোনো নগরী। যেদিকে চোখ যায় শুধুই কংক্রিটের স্তূপ। অথচ কয়েকমাস আগেও ছিলো সাজানো গোছানো ছোট্ট এক শহর। রুশ-ইউক্রেন দু’পক্ষের সৈন্য বাহিনীর তাণ্ডবে এই পরিণতি বাখমুতের।

গেলো আগস্টে পূর্ব ইউক্রেনের ছোট্ট এই শহরটিতে চারদিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করে মস্কো। রুশ সেনাদের সাথে বাখমুত দখলের লড়াইয়ে যোগ দেয় ভাঁড়াটে ওয়াগনার যোদ্ধারা। শহরের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পাল্টা হামলা চালায় ইউক্রেনও।

মেয়রের দাবি, বাখমুতের প্রতিটি ভবনেই রয়েছে হামলার চিহ্ন। বিধ্বস্ত হয়েছে সেতু, সড়কসহ অন্যান্য স্থাপনাও। পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ। বাখমুত পরিণত হয়েছে ভূতুড়ে নগরীতে। যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটিতে ছিলো অন্তত ৮০ হাজার ইউক্রেনীয়র বাস। আর এখন রয়েছে মাত্র হাজার তিনেক। তাদের কাটছে মানবেতর জীবন।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


আরও পড়ুন

দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু : আমু

দেশের বর্তমান সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু : আমু

প্রীতি ম্যাচে কেনিয়াকে হারিয়েছে ইরান

প্রীতি ম্যাচে কেনিয়াকে হারিয়েছে ইরান

মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন

মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন

মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন

মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন

একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী

একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী

জলবায়ু ন্যায়বিচার এগিয়ে নিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত

জলবায়ু ন্যায়বিচার এগিয়ে নিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত

রোজা-ঈদ ঘিরে অপরাধ দমন কার্যক্রম জোরদার করতে আইজিপির নির্দেশ

রোজা-ঈদ ঘিরে অপরাধ দমন কার্যক্রম জোরদার করতে আইজিপির নির্দেশ

সিলেটে মা-বাবা হত্যায় ছেলের মৃত্যুদন্ডের আদেশ

সিলেটে মা-বাবা হত্যায় ছেলের মৃত্যুদন্ডের আদেশ

হবিগঞ্জে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু

হবিগঞ্জে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু

সাংবাদিক গ্রেফতার এবং মামলা দায়েরের ঘটনায় ইরাবের উদ্বেগ

সাংবাদিক গ্রেফতার এবং মামলা দায়েরের ঘটনায় ইরাবের উদ্বেগ

দিল্লি আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ড মাস্টার্স দাবা

দিল্লি আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ড মাস্টার্স দাবা

প্রথম বিভাগ হকিতে ঊষার টানা অষ্টম জয়

প্রথম বিভাগ হকিতে ঊষার টানা অষ্টম জয়

সাবিনারা কেন বঞ্চিত হবেন ?

সাবিনারা কেন বঞ্চিত হবেন ?

ভারতের মধ্যপ্রদেশে মন্দিরে পূজার সময় কূপে পড়ে ১৩ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

ভারতের মধ্যপ্রদেশে মন্দিরে পূজার সময় কূপে পড়ে ১৩ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

ইরানে গাড়ি উৎপাদন ৩৯ শতাংশ বেড়েছে

ইরানে গাড়ি উৎপাদন ৩৯ শতাংশ বেড়েছে

জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য তিন ব্যক্তি এবং দুই প্রতিষ্ঠান মনোনীত

জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য তিন ব্যক্তি এবং দুই প্রতিষ্ঠান মনোনীত

ধনী রাষ্ট্রগুলোকে দরিদ্র দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে আহ্বান করলো আইএমএফ

ধনী রাষ্ট্রগুলোকে দরিদ্র দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে আহ্বান করলো আইএমএফ

মসজিদের ছবির অভিনব সংগ্রহ ইউরোপে

মসজিদের ছবির অভিনব সংগ্রহ ইউরোপে

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে গোল টেবিল আলোচনা

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে গোল টেবিল আলোচনা

ইইউকে ট্রানজিশন পিরিয়ড ৬ বছর বাড়ানোর আহ্বান

ইইউকে ট্রানজিশন পিরিয়ড ৬ বছর বাড়ানোর আহ্বান