কিমের মেয়ের বিলাসবহুল জীবন সম্পর্কে জানলে চমকে যাবেন
১০ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০২:১৩ এএম

দেশের প্রবল খাদ্যসংকটের সঙ্গে এখনও যুঝছেন উত্তর কোরিয়াবাসী। লবণ আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা এখনও কাটেনি। কীভাবে সমাধান হবে, তাও জানেন না। প্রশাসনেরও কোনও মাথাব্যথা নেই। তাতে কী? নিজেদের বিলাসবহুল জীবন থেকে একচুলও সরছেন না সেখানকার ‘একনায়ক’ কিম জং উন। তার মেয়েদের বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখলে মাথা ঘোরার জোগাড়! আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনাও।
এর আগে গত বছর মেয়েকে প্রকাশ্যে এনেছিলেন কিম জং উন। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মঞ্চে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এবার আরেক মেয়ের কথা সামনে এল। নাম তার কিম জু-আই। সম্ভবত সে কিমের মেজো কন্যা। তাকে প্রায় সর্বক্ষণ খেলাধুলোর মধ্যে দেখা যায়। হয় সে সাঁতার কাটছে, নয়ত ঘোড়ায় চড়ছে। তাহলে পড়াশোনা? তাও আছে। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে যায় না। পিয়ংইয়ংয়ের বাড়িতেই পড়াশোনা চলছে তার। যার খরচ বিপুল।
সিউলের গোপন সংস্থার খবর বলছে, কিমের তিন মেয়ে। তাদের বয়স ১৩, ১০ ও ৬ বছর। সম্ভবত এই দ্বিতীয় কন্যাকে নিয়ে ২০২২ সালে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মঞ্চে গিয়েছিলেন কিম। এবং তাকেই গড়েপিটে তুলছেন। এ মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম তাকে ‘রেসপেক্টেড ডটার’ বলে সম্বোধন করছে। ফলে দেয়াল লিখন অনেকটা স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জু-আই দুর্দান্ত ঘোড়সওয়ার। সাঁতার ও স্কি-তেও পারদর্শী।
মেয়েকে জনসমক্ষে আনা এবং তার সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহের সুযোগ করে দেয়ার নেপথ্যে কিম জং উনের লক্ষ্য একটাই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, মহিলা ক্ষমতায়নে জোর দিচ্ছেন তিনি। প্রথমে নিজের বোন কিম ইও জংকে প্রশাসনিক কাজকর্মে শামিল করা এবং তারপর নিজের কন্যাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া এসবেরই ইঙ্গিত। যে দেশে নিজেদের সম্পর্কে একটি তথ্যও প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে দারুণ কড়া, সেখানে কেনই বা কিমের মেয়েদের সম্পর্কে এত তথ্য মিলছে। সূত্র: স্কাই নিউজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
আরও পড়ুন