নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় ভারত
১০ মার্চ ২০২৩, ০২:৩৭ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:২৯ পিএম

ভারত যখন মহা আড়ম্বরে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করছে, সেই সময় আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়ল নরেন্দ্র মোদি সরকারের। ‘সামনের দিন’-এর ঢক্কানিনাদ বাজানো মোদি সরকারের শাসনকাল অর্থাৎ গত দশ বছরের নানা ঘটনা ভারতকে ‘সবচেয়ে খারাপ স্বৈরতান্ত্রিক’ দেশগুলোর তালিকায় স্থান পাইয়ে দিলো।
সম্প্রতি ‘ডেফিয়েন্স ইন দ্য ফেস অফ অটোক্র্যাটাইজেশন’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছে সুইডেনের ভ্যারাইটিজ অফ ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউট। সেখানকার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ের মধ্যে ভারতবাসী রাজনৈতিক মেরুকরণের ঘটনাতেও নাটকীয় উত্থান দেখেছে। আর এই গোটা ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই বিঁধেছে প্রতিষ্ঠানটি। সারা বিশ্বের সামনে এই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই মুখ পুড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের।
নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলির তালিকায় ভারতের পাশাপাশি রয়েছে আফগানিস্তান, ব্রাজিল, মিয়ানমারের নামও। বছর কয়েক আগে এই ইনস্টিটিউট ভারত ‘নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রে’ পরিণত হয়েছে বলেও একটি রিপোর্টে দাবি করেছিল। এবার সুইডেনের প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত রিপোর্টে নির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলির তালিকায় ভারত ১০৮তম স্থানে রয়েছে। যা মোটেই গৌরব বৃদ্ধি করল না মোদি সরকারের। সবচেয়ে দুঃখের, এই বিভাগে ভারতের স্থান হয়েছে সিঙ্গাপুর, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, তানজানিয়ার মতো দেশগুলোরও পিছনে।
১৭৮৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ২০২টি দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে গ্লোবাল ডেটাসেট তৈরি করেছে ভি-ডেম ইনস্টিটিউট। প্রায় ৪০০ বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৩১ মিলিয়নের বেশি তথ্য যাচাই করে ৩ মার্চ রিপোর্টটি প্রকাশ করে। নাম না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও মোদির স্বৈরাচারিতাকে লক্ষ্য করে এই রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়েছে, দেশের মানুষ রাজনৈতিক মেরুকরণে কার্যত সম্মোহিত হয়ে গণতান্ত্রিক নীতি থেকে সরে আসছেন। মেরুকরণের জেরে গত দশ বছরে ভারতে সহযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হয়ে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, ওই ইনস্টিটিউটটি মার্কিন শিল্পপতি জর্জ সোরেসের টাকায় চলে। সম্প্রতি জর্জ আদানি কাণ্ডে মোদির সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের মতোই স্বৈরতন্ত্র বেড়েছে তুরস্ক, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, থাইল্যান্ডে। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, গত বছরের শেষ থেকে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার (৫.৭ বিলিয়ন) ৭২ শতাংশই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের অধীনে বসবাস করছে। যা গত দশ বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন

ঢাকার বায়ু দূষণে দায়ী ভারত

হাওরে আতঙ্ক বজ্রপাত

তুচ্ছ ঘটনায় দুই সহপাঠীকে হত্যা

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধান কে এই হামজা ইউসুফ?

রাস্তায় নামলেই দুর্ভোগ

বাংলাদেশে শিগগিরই গণঅভ্যুত্থান হবে

চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু আয়নী ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি

ছাগলনাইয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

জাতীয় পার্টি জনগণের উন্নয়নে রাজনীতি করে: এমপি খোকা

জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারির সংখ্যা বৃদ্ধি ও ঢাকা মহানগর জাদুঘর রূপান্তর কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠকে সিদ্ধান্ত

‘রাশিয়া-ইউক্রেনের লড়াই ২৪ ঘণ্টায় থামিয়ে দিতে পারি’, ট্রাম্পের দাবি ঘিরে শোরগোল

রাহুল ইস্যুতে স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধীরা

তান্ত্রিকের পরামর্শে শিশুকে ‘নরবলি’, ব্যাপক বিক্ষোভ কলকাতায়!

নারী-পুরুষ সমতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ

দিনে বিচারক, রাতে পর্ন ছবির নায়ক! উপার্জনের জোড়া পন্থায় বিস্মিত আদালত

শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী

মতলবে ২ প্রতিষ্ঠান কে সাড়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

মতলবে ২ প্রতিষ্ঠান কে সাড়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

গুলশানে গ্রেফতার জামায়াতের ১১ নেতাকর্মী রিমান্ডে

সউদীতে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের ৮ জনই বাংলাদেশী