চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন সফল করোনাযোদ্ধা লি কিয়াং
১২ মার্চ ২০২৩, ০১:৩০ পিএম | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৪ এএম

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত লি কিয়াং চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেলেন। শনিবার সকালে এক পার্লামেন্ট অধিবেশনে ভোটাভুটির পর তার এই নিয়োগ চূড়ান্ত হয়।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লি কিয়াং। চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৬৩ বছর বয়সী লি কিয়াং’কে নিয়োগ করার প্রস্তাব ছিল প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। শনিবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রস্তাবটি পড়ে শোনানো হয়। লি কিয়াংয়ের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (পার্লামেন্ট) ২৯০০–এর বেশি প্রতিনিধির মধ্যে ভোট হয়। তিনি প্রায় সকলেরই সমর্থন পেয়েছেন।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। লিং কিয়াংয়ের নির্বাচনের দিনে পার্লামেন্টের একটি ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে দেখা গিয়েছে, তিনি ২৯৩৬ টি ভোট পেয়েছেন। মাত্র তিনজন প্রতিনিধি তার নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আটজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। ভোট চলার সময় ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরে চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন লি কিয়াং। চীনের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।
একটি ইরিগেশন প্ল্যান্টের কর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন লি কিয়াং। তারপর ধীরে ধীরে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো করেন। স্থানীয় সরকার পর্যায়ের বিভিন্ন পদেও ক্রমশ আসীন হতে থাকেন। একসময় সাংহাই শহরে কমিউনিস্ট পার্টিকে নেতৃত্বও দিয়েছেন লি কিয়াং। ২০০০-এর শুরুর দিকে জিনপিংয়ের চিফ অব স্টাফ ছিলেন তিনি। শি তখন ঝেজিয়াং-এ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন।
করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে গত বসন্তে চীনের সাংহাই শহরে কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছিল। জিরো কোভিড নীতি ও লকডাউনের বিরুদ্ধে চীনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই সময়ে লকডাউনের দায়িত্বে থাকা লি কিয়াংয়ের ভূমিকা দেশ জুড়ে প্রশংসিত হয়েছিল। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
আরও পড়ুন