বাতিল ঔপনিবেশিক যুগের ‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন’, ভারতকে পিছনে ফেলল পাকিস্তান
০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০০ পিএম
পাকিস্তানে আর কাউকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। ভারত এখনও পর্যন্ত ব্রিটিশ আমলের এ আইন বাতিল করতে না পারলেও, পাকিস্তান তা করে দেখাল। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ), এক ঐতিহাসিক রায় দিল লাহোর হাইকোর্ট। বাতিল হল পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ১২৪-এর ক ধারা। এই ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হত। বিচারপতি শাহিদ করিমের একক-বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ১২৪-এর ক ধারা পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এই আইন পাকিস্তানি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯-এ যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘন করে।
কী এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন?
বস্তুত, পাকিস্তান এবং ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে কোনও ফারাক নেই। আসলে এটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের তৈরি আইন, যা দুই দেশই স্বাধীনতার পর থেকে এতদিন পর্যন্ত বহাল রেখেছিল। এ আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি কথিত বা লিখিত শব্দ বা চিহ্ন দ্বারা বা দৃশ্যমান উপস্থাপনা দ্বারা কিংবা অন্য কোনও উপায়ে, বিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রীয় বা প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা বা অবমাননা সৃষ্টি করে বা সৃষ্টির চেষ্টা করে, অথবা অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে। তার সঙ্গে জরিমানাও যোগ করা যেতে পারে। জরিমানা না দিতে পারলে কারাদণ্ড আরও তিন বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে।
কেন বাতিল রাষ্ট্রদ্রোহ আইন?
লাহোর হাইকোর্টে এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করার জন্য একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল। সেই আবেদনগুলিতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে এ আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল তাদের বিরোধীদের শায়েস্তা করতে অন্যায্যভাবে এ আইনকে ব্যবহার করছে। আবেদনে আরও বলা হয়েছিল, এই আইন পাকিস্তানি সংবিধানের অনেকগুলি অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনকারী। এর মধ্যে রয়েছে অনুচ্ছেদ ১৪ (মর্যাদার অধিকার), ১৫ (চলাচলের স্বাধীনতা), ১৬ (সমাবেশের স্বাধীনতা), ১৭ (সংগঠনের স্বাধীনতা), ১৯ (বাক স্বাধীনতা), ১৯-এর ক (তথ্যের অধিকার)।
ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের কী অবস্থা?
ভারতেও গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এর ক ধারা বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সমতুল্য বিধানটি অবিকল এক। ভারতে এখনও আইনটি বাতিল না হলেও সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায়ে আপাতত নিষ্ক্রিয় রয়েছে। ২০২২-এর মে মাসে, কেন্দ্রীয় সরকার, শীর্ষ আদাল হলফনামা দাখিল করে জানিয়েছিল, এই আইনটি সরকার ফের যাচাই ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট তার অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে বলেছিল, সরকারের আইনটি পর্যালোচনা করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এর ক ধারা স্থগিত রাখা হবে। একইসঙ্গে এই আইনের অধীনস্ত সমস্ত মুলতুবি থাকা মামলার তদন্ত বা কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই ধরনের মামলা আছে যাদের নামে, তাদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকারও দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে বলেছে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ভারতের আগেই এই ঔপনিবেশিক চিহ্ন মুছে ফেলল পাকিস্তান। সূত্র: টিভি ৯।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গফরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশিকায় ট্রান্সজেন্ডার: গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত
বিপিএলের টিকেটের দাম ও যেভাবে পাওয়া যাবে
সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় আসবে: আনিসুর রহমান
কোটালীপাড়ায় বিএনপির সম্মেলন উদযাপন কমিটির প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত
শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা অনিচ্ছাকৃত ভুল: ঢাবি প্রশাসনের দুঃখ প্রকাশ
ফরিদপুর নগরকান্দায় উদ্বোধন হলো ‘কন্যা সাহসিকা’
নীলফামারীতে ড্যাবের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
লক্ষ্মীপুরে সওজ'র জমি উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে উত্তেজনা, বুলডোজার ভাংচুর
নাটোর থেকে ঢাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাঙ্গা গ্রেফতার
রাজনগরে মিছরাফের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
নোয়াখালীতে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি মামলা, আসামিদের ৬ লাখ টাকা চুক্তিতে খালাসের চেষ্টার অভিযোগ
ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ
৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল ভারত
নগরকান্দায় ‘কন্যা সাহসিকা’ ওয়াশ ব্লক উদ্বোধন
ঝিনাইদহে কাজীর সীল সাক্ষর জালিয়াতি করে বিয়ে!
‘হাত ভেঙে দিবো, চুপ করে থাকবেন, পাকিস্তান পাঠিয়ে দেবো’- বলা এসপির সেই ভিডিও ফের ভাইরাল
উত্তরা হাউজবিল্ডিং -টঙ্গী উড়ালসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী উঠা নামা
ব্যাংক খাতে ব্যর্থতার দায় একক নয়, কমবেশি সবার: গভর্নর
উত্তরা হাউজবিল্ডিং -টঙ্গী উড়ালসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী উঠা নামা