লাইভে বক্তব্য দেয়ার সময় ভারতে সাবেক মুসলিম বিধায়ককে হত্যা
১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম
ভারতের বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে থাকার সময় সাবেক একজন রাজ্যসভার সদস্য এবং তার ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের একটি মামলায় তিনি আগে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
হত্যা এবং হামলার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর আতিক আহমেদ নামে সাবেক ওই মুসলিম বিধায়ককে শনিবার রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজের কাছে দাঁড়িয়ে যখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন খুব কাছ থেকে পিস্তল বের করে তার মাথায় গুলি করা হয়। সেই সময় পাশে দাঁড়ানো তার ভাই আশরাফকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। যারা গুলি করেছিলেন, তারা সাংবাদিক সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গুলি করার পরপরই তিনজন ব্যক্তি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ পুলিশি হেফাজতে থেকেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন। সেই সময় তাদের শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেসময় তাদের দুজনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।
কিছুদিন আগে থেকেই আতিক আহমেদ দাবি করে আসছিলেন যে, পুলিশের কারণে তার জীবন হুমকিতে রয়েছে। কয়েকদিন আগে আতিক আহমেদের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে আসাদও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। একটি হত্যা মামলায় আসাদ এবং আরেকজন ব্যক্তি পলাতক ছিলেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়, যাকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে পুলিশ বর্ণনা করেছে।
লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ছেলের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে তিনি গিয়েছিলেন কিনা? ক্যামেরার সামনে তার সর্বশেষ বক্তব্য ছিল, ‘তারা আমাদের নিয়ে নিয়ে যায়নি, সুতরাং আমরা যেতে পারিনি।’ ঠিক সেই সময় সাংবাদিক সেজে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপর পাশে দাঁড়ানো তার ভাইকেও হত্যা করা হয়। গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য এবং একজন সাংবাদিকও আহত হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের সাবেক বিধায়ক (রাজ্যসভার সদস্য) আতিক আহমেদ এবং তার ভাইকে হত্যা এবং হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অপহরণের একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। পুলিশের তরফ থেকেই তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে, এরকম একটি শুনানির আবেদন গত মাসেই নাকচ করে দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় রয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি। বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনা করে বলছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গত ছয় বছরে উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ১৮০ জনের বেশি ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। বিরোধীরা বলছে, পুরো প্রদেশ জুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, পুলিশ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করে যাচ্ছে, যদিও উত্তর প্রদেশের সরকার সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল
ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
মেজর জে. অব. তারেক সিদ্দিকসহ ১০ জনের নামে মামলা
বহিঃশক্তি শকুনের মত শিল্প কলকারখানায় থাবা দেয়ার চেষ্টা করছে : শিমুল বিশ্বাস
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা