মার্কিন ডলারের আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করতে পারবে চীন ও রাশিয়া?
১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩০ পিএম

বিশ্ব জুড়ে বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনে ডলার প্রধান মুদ্রা হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন এক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেটি হচ্ছে, আমেরিকান ডলারের আধিপত্য খর্ব করার জন্য সক্রিয় হয়েছে চীন ও রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে মুদ্রাবাজারে। অনেক দেশ আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের বিকল্প হিসাবে নিজেদের মুদ্রা ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। বর্তমান বিশ্বে ব্যাংকগুলোর মোট রিজার্ভের ৭০ শতাংশই রয়েছে ডলারের দখলে। বড় অর্থনীতির নিজেদের মুদ্রা চালুর এই চেষ্টায় কি ডলারের সেই আধিপত্য কমবে?
ইউক্রেনে হামলা করার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই তারা ঘোষণা করেছে, গ্যাস বা তেল বিক্রির অর্থ এখন থেকে রুবলে পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে বিনিময় মূল্য কমে যাওয়ার বদলে বরং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে রুবল। চীন, ভারত ও তুরস্কের মতো বড় অর্থনীতির দেশ রাশিয়া থেকে রুবলে তেল ও গ্যাস কিনছে। এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলোও রুবলে রাশিয়াকে অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর রাশিয়া সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানি করে থাকে।
রাশিয়ার অর্থায়নে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে, সেটার ঋণ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও রাশিয়া সম্মত হয়েছে বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো বলছে। ডলারের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে ইরান, চীন, ব্রাজিল, সউদী আরব, মালয়েশিয়া। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সিঙ্গাপুরসহ ১৮টি দেশের সঙ্গে রূপিতে লেনদেনের একটি চুক্তি করেছে ভারত।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সাবেক অর্থনীতিবিদ ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের স্ট্রাটেজিস্ট ডেভিড উ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসাবে ডলার নিয়ে অনেক দেশ ভাবতে শুরু করেছে। রাশিয়া ডলারের বদলে রুবলে লেনদেনের চেষ্টা করছে। চীনও বৈদেশিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের চেষ্টা করছে, কারণ তারাও চিন্তা করতে শুরু করেছে, কোনদিন যদি তাদের অবস্থা রাশিয়ার মতো হয়, তখন কী হবে? ফলে কোন কোন অনেক দেশ নিজেদের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে ডলারের বিকল্প ব্যবহারের চেষ্টা করছে।’
সউদী আরব থেকে ইউয়ান ব্যবহার করে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে চীন। এর মধ্যেই তারা ফ্রান্সের টোটাল এনার্জির সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন শুরু করেছে। গত মার্চ মাসে ব্রাজিল ও চীন একটি যুক্তি করেছে, যে চুক্তির বলে দুই দেশের বাণিজ্যের লেনদেন নিষ্পত্তিতে পরস্পরের মুদ্রা ব্যবহার করা হবে। ইরান, ভেনেজুয়েলা ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোয় পণ্য বিনিময়ে ২০১৮ সালে সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছে চীন, যেখানে তারা রেনমিনবি বা আরএনবিতে লেনদেন করছে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, অগাস্ট মাসে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকসের যে সম্মেলন রয়েছে, সেখানে ডলারের বিকল্প মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে। বর্তমান বিশ্বে রিজার্ভ মুদ্রা হিসাবে ডলারের অবস্থান প্রায় ৭০ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে ইউরো, পাউন্ড, অস্ট্রেলিয়ার বা কানাডার মুদ্রা, ইয়েনের অবস্থান। বাংলাদেশের আমদানির ৮৫ শতাংশ আর রপ্তানির ৯৭ শতাংশ ডলার ব্যবহার করে করা হয়। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

একাত্তরের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান- আসিফ মাহমুদ

মানবিক চিকিৎসক আবু সাফিয়াকে বিনা বিচারে আটক, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই ব্যাপক বিক্ষোভ ফিলিস্তিনিদের

২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা জেলা যুবদলের শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

ইসরাইলি সেনাদের হাতে অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতা অপহরণ

ঈদের পর হবে ইমরান-বুশরার মামলার শুনানি

মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার

ব্রাজিলকে নিয়ে ছেলেখেলা করল আর্জেন্টিনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত পূরণেই সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সম্ভাবনা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুকাশেঙ্কোর শপথ গ্রহণ

হিলিতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

বাংলাদেশের জনগণকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

জাবালিয়া ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি, হামলার হুমকি ইসরায়েলের

সদরপুরে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগ নেতা! জনমনে কৌতূহল

রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে ঘুষ খাওয়ার চেষ্টা, ঘেরাও করে কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধর

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার করায় রায়পুরে ১২ জেলের অর্থদণ্ড