‘আমার দলকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে’, অভিযোগ ইমরান খানের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৫ মে ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম | আপডেট: ১৫ মে ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম

পাকিস্তান অশান্ত। তুঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল। ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পর থেকেই দেশটিতে কার্যত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইমরান লেখেন, ‘প্রায় ৭ হাজার পিটিআই সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সহিংসতার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা তদন্ত না করেই আমাদের সমর্থক, নেতৃত্ব এবং মহিলাদের জেলে ঢোকানো হয়েছে। আমাদের দলকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মদতে সুপ্রিম কোর্টের দখল নিচ্ছে গুন্ডারা। সংবিধানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। একবার এমনটা হলে পাকিস্তান নিয়ে যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তা শেষ হয়ে যাবে।’

বিশ্লেষকদের মতে, একসময় পাকিস্তানের সেনার পোস্টার বয় ছিলেন ইমরান। সেই সমীকরণ পালটে যেতেই ফৌজের বিষনজরে পড়েছেন ‘কাপ্তান’। তাকে গদিচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে একথা বারবার বলেছেন তিনি। এবার সেনাই তার দলকে নিশানা করছে বলে ইঙ্গিত করছেন তিনি।

এদিকে, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে জামিন দিয়েছে লাহোর হাই কোর্ট। আজ সেখানেই একাধিক মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে গিয়েছেন ইমরান। উল্লেখ্য, আগেই তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পিটিআই প্রধান। আল কাদার ট্রাস্ট মামনায় শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা করেনি দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে মোট ১২১টি মামলা দায়ের হয়েছে। বিশ্বাসঘাতকতা ও ধর্মের অবমাননা থেকে সহিংসতা ও সন্ত্রাসে উসকানি দেয়ার মতো নানা অভিযোগে বিদ্ধ ইমরান। সূত্র: টাইমস নাউ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার