ভারতে চন্দ্রযান প্রকৌশলীদের ১৭ মাসের বেতন বাকি!
১৭ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৬ এএম | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০২ এএম
প্রায় তিন বছরের নিরলস পরিশ্রমের শেষে সাফল্য। গত শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে ‘চন্দ্রযান-৩’ এর উৎক্ষেপন করে ভারত। এটি নির্মাণ করেছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে এবার সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইসরোর এই চন্দ্রাভিজানে বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন প্রচুর মানুষ। সেই তালিকায় আছেন রাঁচীর ‘হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ (এইচইসি) সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার, পদস্থ অফিসার থেকে সাধারণ কর্মীরা। ‘চন্দ্রযান-৩’ এর উৎক্ষেপনে তাদের ভূমিকাও কিছু কম নয়। যদিও গত ১৭ মাস বিনা পারিশ্রমিকেই সমস্ত কাজ করেছেন তারা।
আনন্দবাজারসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বারবার ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানোর পরেও দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ওই সংস্থার প্রকৌশলী এবং কর্মীরা। তারপরও তারা দিন রাত এক করে কাজ করে গেছেন।
রাঁচীর ওই রাষ্ট্রীয় অধীনস্থ সংস্থা থেকে ‘চন্দ্রযান-৩’ উৎক্ষেপণের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে বিবিধ জটিল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু যারা সেসব তৈরি করলেন, তারা কেন মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না?
অনেক দিন ধরেই ধুঁকছে এইচইসি সংস্থাটি। তথ্য বলছে, গত ৩ বছর ধরে আর্থিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ওই কোম্পানি। ওয়াকিবহালদের অনেকেই এই সংস্থার পরিস্থিতির সঙ্গে কেন্দ্রীয় টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের তুলনা টানেন। ওই কোম্পানিরই প্রায় তিন হাজার ইঞ্জিনিয়ার থেকে কর্মীরা গত ১৭ মাস কোনও বেতন পাননি।
সংস্থার জয়েন্ট সেক্রেটারি তথা ইঞ্জিনিয়ার সুভাষচন্দ্র ‘চন্দ্রযান-৩’ এর সফল উৎক্ষেপণের পর উচ্ছ্বসিত। কিন্তু তার সহকর্মীদের পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন করায় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিনকে সুভাষ জানান, এটা সত্য যে, কর্মীরা আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন। কিন্তু তারপরও শুক্রবার থেকে সবাই ভীষণ আনন্দিত।
সুভাষের কথায়, ‘আবার একবার এইচইসির সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মী গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন। দেশের এমন একটি বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অংশ হয়েছি। এতে আমরা গর্বিত। আমরা ভীষণ খুশি।’
কেন্দ্রের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে নিউজ এইট্টিন বলছে, একাধিক বার ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে বকেয়া চেয়ে চিঠি দিয়েছে এইচইসি। কিছু দিন আগেই এক হাজার কোটি রুপি চেয়ে আবে
মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে যে, সরকারের তরফে এখনই কোনও সাহায্য মিলছে না। বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ধর্মঘট করেন। সঙ্গে সঙ্গে দু’মাসের বেতন এবং বকেয়া বেতন জলদি মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন তারা।
কেন্দ্রীয় অধীনস্থ সংস্থার দেনা বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু তাইই নয়, আর্থিক দুরবস্থার কারণে ২ বছর হয়ে গেল ওই সংস্থায় কোনও স্থায়ী ‘চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর’ বা সিএমডির নিয়োগ হয়নি।
উল্লেখ্য, ‘চন্দ্রযান-৩’ উৎক্ষেপনের পুরো প্রজেক্টে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের