৪৬০০০ বছর পরে ঘুম ভাঙল ‘ওদের’, এবার?
০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম
কুম্ভকর্ণ ওদের কাছে শিশু! ১০-২০ বা ২০০-৩০০ বছর নয়, একটানা ৪৬০০০ বছর ধরে ঘুমিয়ে চলেছিল ‘ওরা’। অবশেষে তাদের ঘুম ভেঙেছে। এক বিন্দু পানি পেতেই নড়েচড়ে প্রাণের অস্তিতের জানান দিয়েছে তারা। গবেষক-বিজ্ঞানীরাও হতবাক এই আবিষ্কারে। ওরা আর কেউ নয়, এক ধরনের গোলকৃমি। ৪৬ হাজার বছর পরে ঘুম ভেঙেছে ওদের। সম্প্রতিই পিএলওএস জেনেটিকসের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রেই উল্লেখ করা হয়েছে এই আবিষ্কারের কথা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই গোলকৃমি পাওয়া গিয়েছে সাইবেরিয়ান পার্মাফ্রস্টে। বিগত ৪৬ হাজার বছর ধরে বরফের নীচে ঘুমন্ত ছিল গোলকৃমি।
মানবসভ্যতা বলেই যখন কিছু ছিল না, তখন অস্তিত্ব ছিল ওদের। আজও ওরা বেঁচে আছে। শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। প্রশ্ন উঠছে, কোনও প্রাণীর জীবনকাল কি ৪৬ হাজার বছর হতে পারে? কোনও প্রাণী ৪৬ হাজার বছর ধরে ঘুমিয়েও থাকতে পারে? রুশ ও জার্মানির বিজ্ঞানীরা বলছেন, হ্যাঁ পারে। আর তারই প্রমাণ ওই গোলকৃমি। বিগত ৪৬ হাজার বছর ধরে তারা জীবিত ও মৃতের মাঝামাঝি এক অবস্থা, যা ক্রিপ্টোবায়োসিস নামে পরিচিত, সেই অবস্থায় ছিল।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট অব মলিকিউলার সেল বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকসের বিজ্ঞানী তেমুরাস কুর্জচালিয়া জানিয়েছেন, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩১.২ ফুট গভীরে চাপা পড়েছিল। সাইবেরিয়ান পার্মাফ্রস্ট, এটা হল মাটির নীচে এক চিরহিমায়িত অঞ্চল। সারাবছর তাপমাত্রা এইখানে শূন্যের অনেক নীচে থাকে। পাঁচ বছর আগে একদল রুশ বিজ্ঞানী এই পার্মাফ্রস্টে সুপ্ত অবস্থায় বেশকিছু গোলকৃমির খোঁজ পান। গবেষণাগারে নিয়ে এসে দেখা যায়, স্রেফ পানি দিতেই জেগে ওঠে গোলকৃমিরা।
আরও গবেষণার জন্য ১০০টি গোলকৃমিকে জার্মানির কোলনের ল্যাবে পাঠানো হয়। মাটির যে স্তরে কৃমিগুলি ছিল, জার্মানিতে সেই মাটির রেডিওকার্বন পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, গত ৪৬ হাজার বছর ধরে ওই মাটির কোনও পরিবর্তন হয়নি। তা ছিল সম্পূর্ণ হিমায়িত অবস্থায়। এরপরই বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে আসেন যে ওই কৃমিগুলিও ওখানে সুপ্ত অবস্থাতেই ৪৬ হাজার বছর কাটিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থাকে তারা বলছেন ক্রিপ্টোবায়োসিস। যা কিনা জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি একটা অবস্থা। যেখানে প্রবল ঠাণ্ডা কিংবা প্রবল গরমে পানি ও অক্সিজেন ছাড়াই কোনও জীব বেঁচে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন কৃমিগুলির শরীর বিশেষ একধরনের কার্বোহাইড্রেট তৈরি করে। যা কিনা তাদের এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে। গোলকৃমিদের মেটাবলিক রেট এতটাই কমে গিয়েছিল যে তা নির্ণয়ের পর্যায়েও পড়ে না।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা