বিনিয়োগ ঝুঁকিগ্রহণকারীতে পরিপূর্ণ আবাসন খাতের একটি মডেল চাইনিজ প্রোপার্টি ডেভেলপার এখন খেলাপির দ্বারপ্রান্তে। অর্থ সংকটে চীনের অন্যতম বড় ‘অ্যাসেট ম্যানেজার’ বিনিয়োগকারীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। সেইসঙ্গে শেয়ার বাজার থেকে উধাও বিলিয়ন ডলার। এভাবে গোটা অগাস্টই যেন চীনের জন্য এক অস্থির যাত্রা।
বছর তিনেক আগে গৃহ নির্মাণকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায়িক চালচালনের ওপর কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে যা শুরু হয়েছিল, তাতে সেসময়কার সৃষ্ট আবাসন খাতের মন্দাভাব গত অগাস্টে ফের দ্রুত গতিতে বেড়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এখন হুমকির মুখে রয়েছে। ভোক্তা, ব্যবসা এবং বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইস জানিয়েছে, এরপরও চীনের নীতি নির্ধারকরা অ্থনৈতিক উদ্বেগ কমাতে তেমন কোনো পদক্ষেপই নেননি। বেহাল আবাসন খাতের ওপর দেশের অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে মনে হচ্ছে।
‘স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস’-এ ‘গ্রেটার চায়না’র কর্পোরেট ক্রেডিট রেটিং প্রধান চার্লস চ্যাং বলেন, “চীনের আবাসন খাতে যা ঘটছে তা নজিরবিহীন।”
গত তিন দশকে চীনের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার আশায় শহরমুখী হয়েছে। কিন্তু ডেভেলপাররা আধুনিক অ্যাপার্টমেন্টগুলো সেই অনুপাতে দ্রুত গড়ে তুলতে পারেনি। রূপান্তরিত অর্থনীতির চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে আবাসন খাত। এই খাতে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি এখন হুমকির মুখে থাকা আবাসন খাত।
শুরুর দিকে আবাসন খাতের ওপর চীনের নির্ভরতা আকর্ষণীয় ছিল। কিন্তু এই খাতে কয়েক বছরের অতিরিক্ত ঋণ এখন বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে।