জাপানকে বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেছে চীন
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম
২৪ আগস্ট থেকে জাপান ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়তে শুরু করেছে। চীন জাপানের পদক্ষেপকে ‘বেপরোয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং টোকিওকে এর অংশীদার এবং প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে সম্পূর্ণ পরামর্শ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানিও নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। যদিও জাপান সতর্কতার সাথে তার পারমানবিক বর্জ্যপানি পরিশোধন করছে বলে দাবি করেছে, কিন্তু এটিতে মানুষ ও প্রাণী দেহের জন্য ক্ষতিকারক ট্রিটিয়াম নামক একটি রেডিওনিউক্লাইড বা তেজস্ক্রিয় কণা রয়েছে। জাপান আগামী ৩০ বছরে ১০ লাখ টনেরও বেশি এই ট্রিটিয়ামবাহী পানি সাগরে ছেড়ে দিতে চায়। যদিও গত মাসে জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করে অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু জাপানের প্রতিবেশী দেশগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বিজ্ঞানী এবং পরিবেশকর্মীরাও জাপানের এই পরিকল্পনার বিরোধি। কেউ কেউ দাবি করেন যে, সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। অন্যরা বলছেন যে, জাপানের কর্তৃপক্ষ বিশ্বাসযোগ্য নয়। ২০২১ সালের ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিস্ফোরণ সরকারী দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং প্রতারণার উদ্বেগজনক মাত্রা প্রকাশ করেছে। এই বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এতে সৃষ্ট ভূকম্পন পরে সুনামিতে রূপ নেয়। এদিকে, পরিশোধন করা হলেও ওই পানি তেজস্ক্রিয় রয়েই গেছে। জাপানের টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) এই তথ্য মতে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আধারে জমা রাখা ওই পানিতে হাইড্রোজেনের ট্রিটিয়াম এখনো এমন পরিমাণে রয়ে গেছে, যা তেজস্ক্রিয়তা সহনশীলতার আদর্শিক মানের চেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি থেকে ট্রিটিয়াম সরিয়ে নেওয়া খুব কঠিন। তবে, জাপানের বিরুদ্ধে চীনের প্রতিক্রিয়া গভীর হওয়ার আরও কারণ রয়েছে। চীনা জাতীয়তাবাদীরা প্রায়ই ১৯৩০ এবং ১৯৪০ এর দশকে জাপানের চীন আক্রমণ এবং নিপিড়নের কথা উল্লেখ করে থাকেন। এক দশক আগে পূর্ব চীন সাগরে পাঁচটি দ্বীপ নিয়ে জাপানের সাথে বিরোধ যুদ্ধের হুমকিতে গিয়ে ঠেকেছিল। অতি সম্প্রতি, জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থন দেখিয়েছে, যা চীন নিজের বলে দাবি করে। ভিন্ন ধরনের বৈঠকও পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। ১৮ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে নিয়ে একটি অভূতপূর্ব শীর্ষ সম্মেলন করেন। যদিও একটি বিদ্বেষপূর্ণ ইতিহাস জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্ত করেছে, দক্ষিণ কোরিয়া জাপানের পারমানবিক বর্জ্যপানি অপসারণ পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে। তবে, বেশিরভাগ কোরিয়ান জনসাধারণ এর বিরুদ্ধে। জাপানি জনসাধারণও এই ইস্যুতে বিভক্ত। এবং এখন কোনো দেশই জাপান থেকে বেশি সামুদ্রিক খাবার আমদানি করছে না।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন