ইন্ডিয়া বদলে দেশের নাম ভারত হচ্ছে? অবশেষে মুখ খুললেন মোদীর মন্ত্রীরা
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ পিএম
রাতারাতি বদলে ফেলা হবে ইন্ডিয়া নাম? ইন্ডিয়া গেট হয়ে যাবে ভারত দ্বার? ইসরো হবে বিসরো? বদলে যাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কিংবা আইপিএস-আইএএস? এই নিয়ে ভারতজুড়ে জল্পনা এবং বিরোধীদের টিপ্পনির জবাবে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ হিসাবে উল্লেখ করে তার স্বাক্ষরিত জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের কার্ড বিলি থেকে শুরু হয় এ বিতর্ক। বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া রাখার পর থেকেই ভয় পেয়েছে মোদী সরকার। আর তাই রাতারাতি দেশের নামবদল করে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি।
কেবলমাত্র প্রেসিডেন্ট নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এবার ইন্ডিয়া মুছে ভারত হলেন। ২০তম আশিয়ান সামিট এবং ১৮তম ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর তিনি থাকবেন ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়। এ সফরের সরকারি নোটিফিকেশনে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ হিসেবে উল্লখ করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আমার মনে হয় এটি স্রেফ গুজব। আমি শুধু এটুকু বলব যে বা যারা ভারত শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন, তাদের মানসিকতা কী তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।’ রাষ্ট্রপতির নৈশভোজের নিমন্ত্রপত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি ভারতের রাষ্ট্রপতি। সেখানে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লেখায় আপত্তি কোথায়? আমিও ভারত সরকারের মন্ত্রী। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। জি-২০ ২০২৩-এর ব্র্যান্ডিংয়ের লোগোতে ভারত এবং ইন্ডিয়া দু’টি শব্দই উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আপত্তি কেন? কিছু মানুষ বিদেশে গিয়ে ভারতের নিন্দা করেন। আবার দেশে থাকলেও ভারতের নিন্দা করেন।’
অনুরাগ ঠাকুরের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরও এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া, অর্থাৎ ভারত। সংবিধানে এই কথাটিই উল্লেখ করা হয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব আরও একবার সংবিধানের এই লাইনগুলি পড়ে দেখুন। ভারত শব্দটি উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি যথার্থ সংজ্ঞা আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। সেটাই আমাদের সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত, রাজ্যের সমষ্টি।’ অর্থাৎ ইন্ডিয়া এবং ভারত, দুই নামেই সংবিধানের সিলমোহর রয়েছে। তবে কি ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কিংবা ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ শব্দে কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়? বিরোধী জোটের নামকরণ ‘ইন্ডিয়া’ হওয়ার পর থেকে একাধিক বিজেপি নেতা সংবিধান থেকে ইন্ডিয়া নাম মুছে ফেলার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন। শুধু ‘ভারত’ নাম চেয়ে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও হয়। কেন্দ্র কিন্তু, সে বার বলেছিল, এই নাম পরিবর্তনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল, যে যা খুশি নামে ডাকতে পারে দেশকে। সূত্র: টিওআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দাবানলে আবাসন হারালেন হলিউড হিলের যেসব তারকারা
শীতার্তদের মাঝে উঞ্চতা ছড়ালো ইবি 'তারুণ্য'
আমরা খেলাধুলার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি- অধ্যক্ষ এখলাস উদ্দিন খান
হাসিনার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাত নেই এটা ভারতও বিশ্বাস করে : জ্যাক সুলিভান
আশুলিয়ায় চাঁদা না দেয়ায় চা দোকানীকে গুলি, গ্রেপ্তার ৩
সরাইলে পলিথিন উৎপাদনকারিকে কারাদণ্ড
হাজীগঞ্জে অর্ধলক্ষাধিক জনসমাগমের উপস্থিতিতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
ফরিদপুরের ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড় হারিয়ে যাচ্ছে
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ৪ আগস্ট পরবর্তী হামলা হয়েছে: প্রেস উইং
নগরকান্দায় কবরস্থানের জায়গা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
কুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ
লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের, আহত ৯
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয়, বরং সু-সম্পর্ক রয়েছে: ডা. তাহের
দাউদকান্দিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সুন্দরবন জুড়ে ফের দস্যু আতঙ্ক
আবারও ভারতীয় রুপির দরপতন
রাজবাড়ীর পদ্মায় বরশিতে ধরা পড়লো ১৬ কেজির বোয়াল মাছ
রাজবাড়ী ডিবেট এসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন
প্রথমবারের মতো মক্কার বাইরে পবিত্র কাবার সম্পূর্ণ কিসওয়া প্রদর্শন
মেশিন দিয়ে পানি ছিটিয়ে ধুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ভোলা পৌরসভা