ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। এলাকাটির পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলের আগুন গতকাল (শুক্রবার) ও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে আশার ব্যাপার হলো ফায়ার ফাইটাররা দাবানল ছড়িয়ে পড়ার গতিকে কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছে। ইতিমধ্যে দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। এছাড়া অন্তত ১০ হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তবে এই বিধ্বংসী আগুন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে হলিউড তারকাদের।

কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো হলিউড?
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসকে বিবেচনা করা হয় হলিউডের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে। এছাড়া এটিই আমেরিকার প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। সেখানেই দানবীয়ভাবে জ্বলছে দাবানলের ভয়াবহ আগুন। যাতে পুড়ে ছাই হচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলসের বিশাল এলাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে পাচটি সক্রিয় দাবানলে পুড়ছিল সবকিছু।

ইতিমধ্যেই ইটন নামে একটি দাবানল গতকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। কেবল ইটনই ১৭ হাজার ৬০০ একর জায়গাজুড়ে তার লেলিহান শিখা ছড়িয়েছে। এছাড়া শক্তিশালী বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া এবং পানির চাপ কম থাকায় আগুনের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এমনকি দাবানলে পুড়ে গেছে হলিউড হিলসও।

জানা যায়, সানসেট নামক দাবানলে পুড়ছে হলিউড হিলস। যেখানে বিখ্যাত হলিউড সাইনবোর্ডটি অবস্থিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার সেখানকার সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলা হয়। তখন থেকেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে হলিউডের অনেক তারকার বাড়ি নিঃশেষ হয়ে গেছে। তারকাদের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ

১। অ্যান্টনি হপকিন্স
মার্কিন কিংবদন্তি অভিনেতা অ্যান্থনি হপকিন্স। দাবানলের আগুনে প্যাসিফিক প্যালিসেডেস বাড়িটি হারিয়েছেন তিনি। সে বাসা থেকে তিনি প্রায়ই পিয়ানো বাজিয়ে টিকটকে শেয়ার করতেন। এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সবাই এই আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে সংগ্রাম করছি, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শুধুমাত্র আমরা আমাদের সাথে যা নিয়ে যাই না কেন, ভালোবাসা যেন আমরা দেই।’

২। মেল গিবসন
মেল গিবসন আমেরিকান বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি নিউজ নেশনকে জানিয়েছেন, টেক্সাসের অস্টিনে শ্যুটিং করার সময় তার বাড়িটি দাবানলে পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, 'এটা আবেগের বিষয়। বাড়িটিতে আমি দীর্ঘদিন ধরে বাস করছি। সেখানে আমার সব জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। তবে কিছু নথিপত্র সিন্ডারে রাখা আছে সেগুলোর জন্য কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।'

৩। বিলি ক্রিস্টাল
৭৬ বছর বয়সী বিলি ক্রিস্টাল একজন আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান এবং তিনি মঞ্চ নাটকের জন্য বেশি পরিচিত। সানসেট নামের দাবানলে ১৯৭৯ সালে নির্মাণ করা তার প্যাসিফিক প্যালিসেডস নামের বাড়িটি পুড়ে যায়। বিলি ক্রিস্টাল এবং তার স্ত্রী জেনিস বুধবার (৮ জানুয়ারি) একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, তাদের ৪৫ বছরের পুরোনো বাড়ি প্যাসিফিক প্যালিসেডস অঞ্চলে পুড়ে গেছে। বিলি ক্রিস্টাল এবং তার স্ত্রী জেনিস বুধবার বিবৃতিতে জানান, তাদের ৪৫ বছরের পুরোনো বাড়ি প্যাসিফিক প্যালিসেডস অঞ্চলে পুড়ে গেছে। বিবৃতিতে তারা লিখেছেন, ‘জেনিস এবং আমি ১৯৭৯ সাল থেকে আমাদের বাড়িতে বাস করছি। আমরা এখানে আমাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বড় করেছি। আমাদের বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চি ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল, সুন্দর স্মৃতি যা কখনো চলে যাবে না। আদের অবশ্যই হৃদয় ভেঙ্গেছে। কিন্তু আমাদের সন্তান ও বন্ধুদের ভালোবাসায় আমরা এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব।’

৪। মারিয়া শিভার
ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্স্ট লেডি খ্যাত মারিয়া শিভার। ভয়াবহ এই দাবানলে হারিয়েছেন নিজের বাড়িসহ পুরো এলাকাই। সামাজিক মাধ্যমে দাবানলের ধ্বংসযজ্ঞ দেখিয়ে এই তারকা লিখেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিই অবশ্যই হৃদয়বিদারক, বিধ্বংসী! বিশ্বাস করার মতো না একেবারেই। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমাদের বাসা, আমাদের প্রতিবেশী, রেস্তোরাঁ- সব শেষ।’

৫। জেফ ব্রিজস
প্রবীণ অভিনেতা জেফ ব্রিজসের মুখপাত্র দ্য হলিউড পত্রিকাকে জানান, মালিবুতে জেফ ব্রিজসের বাড়ি আগুনে পুুড়ে গেছে।

৬। প্যারিস হিলটন
জনপ্রিয় টিভিব্যক্তিত্ব প্যারিস হিলটনের বাড়ি দাবানলে পুড়ে গেছে। মালিবুতে তার বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। খবরে সরাসরি সম্প্রচার দেখে জেনেছেন সে কথা। ঝলকের কিছু অংশ ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘এই অভিজ্ঞতা যেন আর কারও না হয়।’ তিনি আরও জানান, এই বাড়িতে অনেক মূল্যবান স্মৃতি ছিল তার। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে সব। তার পরিবারের সদস্য ও পোষ্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই কাঁদলেন প্যারিস হিলটন। প্রিয় বাড়িটি যে এভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি প্যারিস হিলটন। সেই বিধ্বংসী পরিস্থিতির ভিডিও শেয়ার করেছেন এ হলিউড অভিনেত্রী। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি লিখলেন, ‘আমি এখন সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে যেটা আমার স্বপ্নের বাড়িছিল। কতটা কষ্ট হচ্ছে বলে বোঝাতে পারব না। প্রথম যখন খবরটা পেলাম, আমি কিছুক্ষণের জন্য হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারিনি প্রথমে। তবে এখন এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নিজে যা প্রত্যক্ষ করছি, আমার মন ভেঙে খান খান হয়ে গেল।’

নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে প্যারিস হিলটন বলেন, ‘এটা শুধু আমার বাসস্থান ছিল না। এই সেই বাড়ি যেখানে আমরা একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছি, হেসেছি-কেঁদেছি, পুরো পরিবারকে নিয়ে কত সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করেছি। যে বাড়ির প্রতিটা কোণায় কোণায় ভালোবাসার চিহ্ন রয়েছে। সেই বাড়ি এভাবে ছাইয়ে পরিণত হয়ে গেল। আমি বাকরুদ্ধ।’

৭। টিনা নোলস
মার্কিন তারকা বিয়ন্স এবং সোলেঞ্জ নোলসের মা, টিনা নোলস। তিনিও তার বাড়ি হারিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার প্রিয় স্থান, আমার অভয়ারণ্য। আমার পবিত্র সুখী স্থান ছিল। এখন এটি চলে গেছে।’

৮। পিট লি
এক জরুরী কাজে নিউইয়র্কে ছিলেন কমেডি অভিনেতা পিট লি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো- তিনি সেখানে বসেই টেলিভিশনে তার লস এঞ্জেলস এর বাসাটি সরাসরি পুড়ে যেতে দেখেছেন! সামাজিক মাধ্যমে সেই সম্প্রচার প্রকাশ করে এই তারকা বলেন, ‘এই ফুটেজটি (দৃশ্যটি) আমার বাড়ির সামনের। সম্প্রচারটি দেখে অনেকেই এই মুহূর্তে জানতে পেরেছে তাদের বাড়ি জ্বলছে। তাদের মধ্যে আছি আমি ও আমার বন্ধুরা। হ্যাঁ, এটাই আমার বাড়ি।’

৯। ক্যারি এলওয়েস
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’ ছবির অভিনেতা ক্যারি এলওয়েসেও। তার বাড়িও পুড়ে ছাই। কোনোমতে প্রাণে বেঁচে রয়েছেন পরিবারের অন্যরা। গত রোববার রাতেই ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ সিনেমার জন্য গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। মার্কিন গণমাধ্যম টিএমজেড জানিয়েছে, দাবানলে অস্কারজয়ী এই অভিনেতার বাড়িও পুড়ে গেছে।

১০। কেট বেকিনসল
অনেক দিন ধরেই প্যাসিফিক প্যালিসেডসের বাসিন্দা ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেট বেকিনসল। প্যাসিফিক প্যালিসেডসের ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার ও আমার মেয়ের শৈশবের বেশির ভাগ সময় এখানেই কেটেছে। এক নিমেষেই আমাদের শৈশব হারিয়ে গেল। আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।’

১১। জেমি লি কার্টিস
অস্কার, এমি ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার পরিবার নিরাপদ, কিন্তু তাদের বাড়ি রক্ষা পায়নি। তিনি উদ্ধারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

১২। ম্যান্ডি মুর
সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী ম্যান্ডি মুর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, আগুন থেকে বাচতে তিনি তার সন্তান ও পোষা প্রাণীদের নিয়ে এলাকা ছেড়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের আলতাদেনার বাসিন্দা মুর আরও লিখেছেন, দাবানলে তার বসবাসের এলাকাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। দাবানল ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন তিনি। “বাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু বসবাসযোগ্য নয়। আমাদের এলাকার প্রতিটি বাড়ি পুড়ে গেছে। সমস্ত ইস্মট্রুমেন্টসহ বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া স্টুডিওটি আমি হারিয়েছি।”

১৩। মিলো ভেন্টিমিগ্লিয়া
আরেকজন তারকা মিলো ভেন্টিমিগ্লিয়া সিবিএস নিউজকে জানান, তিনি এবং তার গর্ভবতী স্ত্রী জারাহ মারিয়ানো তাদের মালিবু বাড়ি হারিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আপনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছেন সেখানে এক ধরনের বিষণ্ন মুহূর্ত রয়েছে। এটি বাস্তবে ঘটেছে। আমরা হার মেনে নিয়েছি।’

১৪। মেলিসা ক্লেয়ার ইগান
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে কেনা বাড়িটি দাবানলের আগুনে হারালেন মার্কিন অভিনেত্রী মেলিসা ক্লেয়ার ইগান। সেই বাড়ির ধ্বংসস্তূপের ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি এখনও বাড়িটিতে প্রবেশই করতে পারি নি, অথচ এটি এখন ধ্বংসস্তূপ। আমরা এই ভয়ংকর বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত।’

১৫। মাইলস টেলার এবং কেলি টেলার
মাইলস টেলার এবং কেলি টেলার তাদের বাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা শেষ ছবি দিয়ে ক্ষতির কথা জানিয়ে লিখেছেন,‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্যালিসেডস, আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমি স্বর্গের একটি ছোট টুকরো। আমরা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’

পুরস্কার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান পেছালো
এইচ-টাউনে এই সময়টি পুরস্কারের মৌসুম। গত রোববার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। তাছাড়া আগামী দুই মাসের মধ্যে অস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু পুরস্কার প্রদানকারী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও দাবানলের কারণে এসব অনুষ্ঠান নিয়ে এখন দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

শোবিজ বিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দাবানালের কারণে অস্কার মনোনয়ন ঘোষণা পেছানো হয়েছে, তাছাড়া বাড়ানো হয়েছে ভোটদানের সময়ও। পূর্বের সূচিতে, ১৭ জানুয়ারি অস্কারের চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণার কথা ছিল থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এখন সেটা দুই দিন পিছিয়ে মনোনয়ন ঘোষণার তারিখ ১৯ জানুয়ারি করা হয়েছে।

এছাড়া চলতি মাসের ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নের জন্য ভোটদান, যা ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন একাডেমির ভোটাররা।

এদিকে পিছিয়েছে ক্রিটিকস চয়েজ অ্যাওয়ার্ডের দিনক্ষণ। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অঙ্গনের এক বছরের সেরা কাজের পুরস্কার স্বরূপ দেওয়া হয় এই পুরস্কার। আগামী ১২ জানুয়ারি (রোববার) এ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন পিছিয়ে ২৬ জানুয়ারি করা হয়েছে।

প্রিমিয়ার, শুটিং বাতিল
চলচ্চিত্র বিষয়ক গণমাধ্যম ভ্যারাইটি সূত্রে জানা যায়, দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসে পূর্বনির্ধারিত বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রিমিয়ার স্থগিত করা হয়েছে। এসব সিনেমার মধ্যে আছে ‘আনস্টপেবল’, ‘উলফম্যান’, ‘বেটার ম্যান, ‘দ্য পিট’, ‘দ্য লাস্ট শোগার্ল’ ইত্যাদি।

এদিকে ছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম ডেডলাইন প্রযোজনা সংস্থাগুলোর বরাতে জানিয়েছে, দাবানলের কারণে বেশ কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজের শুটিং বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া সিনেমা, সিরিজের মধ্যে আছে ‘হ্যাকস’, ‘টেড’, ‘সুইটস: এলএ’, ‘হ্যাপি প্লেস’, ‘ফলআউট ২’, ‘আফটার মিডনাইট’ ইত্যাদি।

মানবিকতার আবেদন
আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড গোল্ডেন গ্লোব, এমি ও সেগ পুরস্কারজয়ী ৭৩ বছর বয়সী হলিউড তারকা জিন স্মার্ট সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বলেন, “হলিউডে এ সময় অনেকগুলো পুরস্কার অনুষ্ঠান হয়। তবে আগুনের এই বিবেচনায় নিয়ে টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোর প্রতি আমার একটি আবেদন আছেন । সেটি হল তারা যেন দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও ফায়ার ফাইটারদের সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ান।”

বলিউডের শক্তিমান অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী নিক জোনাসকে। প্রিয় মানুষটির সাথে বেশ আগেই পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে ভালো নেই দেশটি। লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।

প্রিয়াঙ্কা সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এই দাবানল রুখতে যারা প্রথম থেকে লড়াই করছেন, তাদের কুর্নিশ। রাত জেগে যারা কাজ করে চলেছেন ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিবারকে অনবরত সাহায্য করে চলেছেন তাদের ধন্যবাদ।’

প্রসঙ্গত, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের মুখোমুখি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর দাবি ইতোমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

সূত্র: ন্যাশন, ভ্যারাইটি