চীনে জনসংখ্যার নিম্নহার, প্রভাব ফেলছে অর্থনীতিতে

অনলাইন ডেস্ক

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম

গত মহামারীর সময়ে কঠোর লকডাউনের ফলে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে চীন এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। তার ওপর রিয়েল স্টেট খাতে যে সমস্যা তাতে চীনের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের যে বর্তমান নীতি তাতে তার সঙ্গে খুব কম দেশই রয়েছে। আর প্রেসিডেন্ট এখন তার দেশে এবং বিদেশে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।
চীনের ধীরগতির অর্থনীতির ফলে এখন চীনের অধিবাসী এবং স্বয়ং প্রেসিডেন্ট নিজেই কঠিন সময় পার করছে। এছাড়া ক্রমেই চীনের জনসংখ্যা কমে আসছে যা চীনের কর্মশক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। একই সাথে চীনের যুব কর্মসংস্থান বিভাগ থেকে এমন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে যা চীন সরকার প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট শি চীনের প্রধান ব্যাক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবেন বলে জনগনকে নিশ্চয়তা দেন। কিন্তু বর্তমানে এ চিত্র একেবারেই ভিন্ন। তবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির যে তথ্য তাতে মনে হতে পারে চীনের অর্থনীতি শুধুই বেড়ে চলেছে।
আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক গবেষক ইয়ান জনসন এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, দেশ এবং জনগনের প্রতি প্রেসিডেন্ট শির যে কতৃত্ববাদী মনোভাব তা পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করছে। এসব কারণে জনমনে অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে।
চীনের নীতি এখন অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক বানিজ্য বিষয়ক সচিব জিনা রাইমন্ড চীন সফরে আসেন এবং চলমান অনিশ্চয়তা নিয়ে সর্তক করেন।
এশিয়া এন্ড গ্লোবাল ট্রেড ইফরমেশন টেকনোলজি কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট নওমি উইলসন লিখেছেন, চীনের নিজস্ব মার্কেটে এখন বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দেয়া উচিত। এছাড়া চীনের কোম্পানীগুলোও যাতে চীনের বাইরে অন্য দেশে প্রতিস্থাপন করা যায় সেদিকে নজর দেয়া।
সম্প্রতি বৈশি^ক মতামত নিয়ে করা এক সার্ভেতে দেখা যায়, আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন বিষয়ে চীনের যে প্রভাব তা অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করছে না। তাই এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চীনের যে ক্রমাগত আক্রমনাত্বক পদক্ষেপ তা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রও চীনের সাথে বর্ডার আছে এমন দেশগুলোতে তাদের অবস্থান জোরদার করছে।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক