পাকিস্তানে ৯ মে এর সহিংসতার পরের ধারাবাহিক মামলায়, সন্ত্রাসবাদ, অগ্নিসংযোগ, এবং জনসাধারণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে কয়েক ডজন বিশিষ্ট পিটিআই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কেউ কেউ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও একাধিকবার গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হয়েছেন। অন্যান্যরাও বিভিন্ন ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা একে সেনার অনুগ্রহ থেকে সরে আসা রাজনীতিবিদদের উপর লক্ষ্যবস্তু আক্রমণ বলে মনে করছেন।

সেই দুর্ভাগ্যজনক দিন থেকে চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন হাই-প্রোফাইল পিটিআই রাজনীতিবিদদের তথ্য সংকলন করেছে যারা তখন থেকে আইনি সমস্যায় পড়েছেন। এই তালিকায় ৯ মে ঘটনার পরে দল থেকে বিদায় নেয়া নেতাদের নাম নেই।

তোশখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঞ্জাব পুলিশ পিটিআই প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার লাহোরের বাসা থেকে আটক করে। এরপর থেকে তিনি অ্যাটক কারাগারে বন্দী রয়েছেন। পিটিআই সভাপতি চৌধুরী পারভেজ এলাহীও কারাগারে রয়েছেন এবং এসিই-এর সাথে অন্তত চারটি নিবন্ধিত সহ বেশ কয়েকটি মামলায় তদন্ত ও কার্যক্রমের মুখোমুখি হচ্ছেন। ডনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, জুনের শুরু থেকে তাকে অন্তত ১১ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্যান্য বর্তমান ও সাবেক নেতাদের মধ্যে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ইমরানের গ্রেপ্তারের দুই দিন পরে ইসলামাবাদ পুলিশ আটক করেছিল। এরপর জামিনে মুক্তি পেলেও দুই মাসের কিছু পরে, তাকে আবারও ইসলামাবাদে গ্রেফতার করা হয় - এবার তাকে এফআইএ গ্রেফতার করে। পিটিআই প্রধানের মতো একই সাইফার মামলায় এখনও পর্যন্ত তিনি হেফাজতে রয়েছেন।

ইমরান খানের ভাগ্নে এবং পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার হাসান খান নিয়াজি ৯ মে দাঙ্গার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করেছিলেন, তাকে অ্যাবোটাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে কোয়েটা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ১৮ আগস্ট তাকে বিচারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ডঃ ইয়াসমিন রশিদ, আসাদ উমর, আলী মুহাম্মদ খান, এজাজ চৌধুরী ফিরদৌস, শামীম নকভি, শেহরিয়ার খান আফ্রিদি, শানদানা গুলজার, পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা, হালিম আদিল শেখ, ফালাক নাজের মতো অন্যান্য পিটিআই নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সূত্র: ডন।