চীনের প্রভাব মোকাবেলায় হ্যানয় সফরে বাইডেন
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম
ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে ভিয়েতনাম সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ রোববার বিকেলে তিনি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছাবেন। বাইডেনের এই সফরে উভয় দেশ পরস্পরকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার বিকেলে বাইডেন হ্যানয়ে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছাবেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাবেন দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নগুয়েন ফু ত্রং। পরে সেখান থেকে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান কার্যালয়ে যাবেন দুই নেতা এবং সেখানেই তাঁরা বৈঠকে বসবেন। এরপর বাইডেন সেখানে একটি ভাষণ দেবেন।
বাইডেনের এই সফর এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্ক দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে একপ্রকার তলানিতে নেমেছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আগেও ভিয়েতনাম আরও চারটি দেশকে ‘কৌশলগত অংশীদার’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দেশগুলো হলো চীন, রাশিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
এই সফরে বাইডেনের পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভিয়েতনামের প্রযুক্তি খাতের প্রধান প্রধান ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক হতে পারে। সেখানে বাইডেন ভিয়েতনামে মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের সুযোগ সন্ধান করতে পারেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন আরও বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনামের বাণিজ্য ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। সে বছর ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রে ১০৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে।
কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থিত উত্তর ভিয়েতনাম এবং মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণ ভিয়েতনামের মধ্যকার দশকব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৫০ বছর পর ভিয়েতনাম সফরে এলেন বাইডেন। এই সফরকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করার এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
যুক্তরাষ্ট্র বিগত কয়েক দশক ধরেই ভিয়েতনামকে কৌশলগত অংশীদার হওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হ্যানয় এ ব্যাপারে ভীষণ কৌশলী। কারণ, দেশটি কোনোভাবেই চীনের মতো নিকট ও বৃহৎ প্রতিবেশীকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে চায় না। পাশাপাশি রাশিয়াকেও হারাতে চায় না দেশটি। কারণ এ দুটি দেশই ভিয়েতনামের রপ্তানি পণ্যের কাঁচামালের অধিকাংশই সরবরাহ করে থাকে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস