ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারণা, ১১ হাজার বছর কারাদণ্ডের সাজা ব্যবসায়ীকে

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম

অভিযোগ বড়সড়। গ্রাহকের দুই বিলিয়ন ডলার প্রতারণা করেছে অভিযুক্ত। তারপরেও যে সাজা দেয়া হয়েছে তুরস্কে ক্রিপ্টো কারেন্সির প্রতিষ্ঠাতাকে, তা এককথায় নজিরবিহীন। আলবেনিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে দেশের আদালত। একই সাজা দেয়া হয়েছে তার দুই ভাইকেও। শুক্রবার চমকে দেয়া কারাদণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

 

২৯ বছরের ফারুক ফাতিহ ওজের তুরস্কে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠা করেন। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। অপরাধের দায়ে বিপক্ষের কৌশলী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ৪০ হাজার ৫৬২ বছরের সাজার আবেদন করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিচারক তাকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়।

 

যদিও শুনানিতে ফারুক দাবি করেন, যদি তিনি কোনও অপরাধ সংগঠন করতেন তাহলে এমন অপেশাদার আচরণ করতেন না। যদিও বিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, ফারুক ২০২১ সালের এপ্রিলে তুরস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারকারীদের সম্পদের ২৫০ মিলিয়ন লিরা (প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তিনটি গোপন অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেন। এই কাজে সহযোগী ছিলেন তার দুই ভাই সেরাপ ও গুভেন। এই কারণে তাদেরকেও এক সাজা শুনিয়েছে আদালত।

 

একটি বিষয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে, মানুষের ৭০-৮০ বছরের জীবনে ১১ হাজার বছর জেল খাটা কখনই সম্ভব না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এমন সাজা দিলেন বিচারক। আসলে অপরাধের মাত্রা বোঝাতেই দোষীকে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে খবর। আদতে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত হবে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস