চলতি বছর শতাধিক ফাঁসির নির্দেশ সউদী আরবে
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৮ পিএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৮ পিএম
বিভিন্ন অপরাধে একের পর এক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে সউদী আরব। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই শতাধিক ব্যক্তিকে ঝোলানো হয়েছে ফাঁসিতে। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-র এমন রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার দেশেটিতে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে এ সংস্থা।
গত শুক্রবার সউদীতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় সরকারি বিরোধী পোস্ট বা খুব অল্প পরিমাণে মাদক পাচারের মতো অপরাধেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সউদী প্রশাসন। যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ‘সউদী প্রশাসন যেভাবে গণহারে ফাঁসি দিচ্ছে, তাতে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যুব সমাজ বিশেষত ১৮ বছরের নীচে যাদের বয়স, তারা ভয় ভয় দিন কাটাচ্ছেন,’ রিপোর্টে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি।
এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু উদাহরণ দিয়েছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ওই বেসরকারি সংস্থা। তাদের দাবি, গত অগাস্টে মোহাম্মদ বিন নাসের অল-ঘামদি নামের এক অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। চার্জশিটে মোহাম্মদ বিন নাসেরের বিরুদ্ধে ধর্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা ও সমাজে অশান্তি তৈরির মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ঘন ঘন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নেপথ্যে রয়েছে সউদীর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত। এইভাবে সমস্ত বিরুদ্ধ কণ্ঠকে নির্মূল করতে চাইছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে কার্যত সউদী শাসন করছেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান। নিজেকে আধুনিকীকরণের কান্ডারি হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সউদীকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিপন্ন করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন সউদীর যুবরাজ। যে অপরাধে কোনও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি, সেখানে ফাঁসি দেয়া হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। উলটে তার আমলে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে বলে মিলেছে তথ্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-য় মোহাম্মদ বিন সালমান শাসনভার হাতে তুলে নেয়ার পর থেকে সউদীতে বছরে গড়ে ১২৯ জনের ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। গত বছর এই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ১৯৬-তে। গত ৩০ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস