বন্দী বিনিময়ের দ্বারপ্রান্তে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৭ পিএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৭ পিএম
ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে তেহরানের শর্ত অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কাতারের ব্যাংকগুলোতে তেহরানের তহবিলে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
অর্থাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে প্রাপ্য যেই অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করা হয়েছিল। এবার কাতারে বিশেষ এক অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ পাঠানো হবে।
ওই অর্থের বিনিময়ে ইরানে আটক পাঁচজন মার্কিন দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান এবং একই সংখ্যক ইরানী বন্দীকে মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময় আলোচনার সঙ্গে জড়িত আট ব্যক্তি এবং অন্যান্য সূত্র রয়টার্সকে ওই খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ইরান গত ১০ আগস্ট তেহরানের এভিন কারাগার থেকে পাঁচ মার্কিন নাগরিককে বের করে স্থানীয় হোটেলে গৃহবন্দি অবস্থায় রেখেছে।
সেই দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ওই পদক্ষেপকে বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ বলে অভিহিত করেছিলেন।
ইরানে গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন ব্যবসায়ী সিয়ামক নামাজি, এমাদ শারকি এবং পরিবেশবাদী মোরাদ তাহবাজ। গৃহবন্দী চতুর্থ এবং পঞ্চম জনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিশ্বস্ত দুটি সূত্র জানিয়েছে, ওই দুজনের একজন নারী।
দোহা দুই দেশের মধ্যে অন্তত আট দফা আলোচনার আয়োজন করেছে, যাতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করতে পারে। পূর্ববর্তী আলোচনাগুলো প্রধানত পারমাণবিক ইস্যুতে হলেও পরে এটি বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীভূত হয়।
এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, ‘ইরান প্রথমে তহবিলে সরাসরি প্রবেশাধিকার চেয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা কাতারের মাধ্যমে প্রবেশাধিকারে রাজি হয়েছে। ওই অর্থ দিয়ে ইরান খাদ্য ও ওষুধ কিনবে এবং কাতার সেক্ষেত্রে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্দীদের মুক্তির সঠিক সময় ঘোষণা করতে প্রস্তুত নয়।
ওই মুখপাত্র বন্দী বিনিময় আলোচনাকে একটি চলমান এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল আলোচনা বলে অভিহিত করে তার বিশদ বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান।
যদিও মার্কিন প্রশাসন তহবিল স্থানান্তরের সময় সম্পর্কে মন্তব্য করেনি, তবে গত ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন বলেছিলেন, ইরানের তহবিল স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘ইরান-মার্কিন সম্পর্ক বিশ্বাসের বৈশিষ্ট্য নয়। আমরা ইরানকে তার ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে বিচার করি, অন্য কিছু নয়।’
ইরান অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই বোঝাপড়াকে বন্দি বিনিময় হিসেবে তুলে ধরছে। জাতিসংঘে সে দেশের দূতাবাস জানিয়েছে, দুই দেশই পাঁচ জন করে বন্দিকে ক্ষমা করে মুক্তি দেবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী সপ্তাহেই মার্কিন বন্দিরা ইরান ত্যাগ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলেও মার্কিন বন্দি মুক্তির বিনিময়ে ইরানের প্রাপ্য নগদ ৪০ কোটি ডলার হস্তান্তর করা হয়েছিল। সে সময়ে তার প্রশাসন প্রবল সমালোচনার সম্মুখিন হয়েছিল।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার