বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ বলেছেন, জি-২০ সম্মেলনে ভারত বিশ্বের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এবং জি-২০ সদস্য দেশগুলি দ্বারা তা গৃহীত হয়েছে বলে প্রশংসা করেছেন তিনি। বঙ্গ বলেন, নেতৃত্ব দেওয়া এবং নেওয়া, আলোচনা করা এবং একমত হওয়ার আর বিশ্বের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করার একটি সঠিক উপায় খুঁজে বের করা অবশ্যই কঠিন কাজ এবং যারা করছে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব আজ দেখছে জি-২০ সম্মেলন উন্নত বিশ্ব এবং উন্নয়নশীল বিশ্বকে এককাতারে সামিল করেছে।
এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময় বঙ্গ জোর দিয়েছিলেন যে, চ্যালেঞ্জগুলি সর্বদা বিদ্যমান থাকবে। তবে ভারত একটি ঐকমত্য তৈরি করে দেখিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের জিডিপির ৮০% এই সম্মেলনে আসে নি। তারা রাজি না হলে ভালো বার্তা দেবে না। আমি আসলে ভারতের নেতৃত্ব এবং জি-২০ নেতাদের প্রশংসা করি একটি দুর্দান্ত ঘোষণাটি নিশ্চিত করতে তারা সক্ষম হয়েছে। সবসময় চ্যালেঞ্জ থাকবে।
"কোনও দেশই সবকিছুতে একমত হবে না। জনগণকে তাদের জাতীয় স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। তবে আমি সেই ঘরে যে মেজাজ দেখেছি তাতে আমি আশাবাদী, বঙ্গ বলেন।
এর আগে শনিবার জি-২০ দিল্লি ঘোষণা গৃহীত হয়। এটি আঞ্চলিক অখণ্ডতা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাসহ আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখার জন্য দেশগুলিকে আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০ এর নতুন স্থায়ী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এবং বিশ্বব্যাপী সিদ্ধান্ত গ্রহণে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আরও বেশি ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিডেন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও, আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের সূচনা করেন।
ব্রাজিল, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃস্থানীয় জৈব জ্বালানি উৎপাদক এবং ভোক্তা হিসাবে, অন্যান্য আগ্রহী দেশগুলির সাথে একটি গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্সের উন্নয়নের জন্য আগামী কয়েক মাসে একসাথে কাজ করবে৷
শীর্ষ সম্মেলনের আরেকটি বড় সফলতা ছিল ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি মেগা ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ শিপিং এবং রেল যোগাযোগ করিডোর চালু করার ঘোষণা।