ইরানের ৫ বন্দিকে মুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের, ৬০০ কোটি ডলার ফেরত
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৭ পিএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৭ পিএম
অনেকটা গোপনেই পাঁচ ইরানি বন্দির মুক্তির প্রক্রিয়া সারলো বাইডেন প্রশাসন। পাশাপাশি দক্ষি কোরিয়ায় বাজেয়াপ্ত করা ইরানের ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদও ফেরত দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে করা একটি চুক্তি গত সপ্তাহে সই করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কিন্তু গত সোমবারের (১১ সেপ্টেম্বর) আগ পর্যন্ত বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসকেও জানানো হয়নি।
এ ঘটনার প্রায় এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারা নীতিগতভাবে একটি চুক্তি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই চুক্তির রূপরেখাও প্রকাশ করা হয়েছিল এবং সেই অনুসারে ইরানকে অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়টি প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি থাকা পাঁচ ইরানিকে যে মুক্তি দেয়া হচ্ছে, এটি বিজ্ঞপ্তি থেকেই প্রথমবার জানা গেলো। অবশ্য মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বন্দিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
মূলত ইরানে বন্দি পাঁচ মার্কিন নাগরিকের মুক্তির রাস্তা পরিষ্কার করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। ইরানের কারাগারে বন্দি পাঁচ মার্কিনির মধ্যে রয়েছেন সিয়ামক নামাজি, যাকে ২০১৫ সালে আটক করা হয়েছিল এবং পরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল; ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এমাদ শার্ঘি, যাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল; ইরানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-আমেরিকান সংরক্ষণবাদী মোরাদ তাহবাজ, যিনি ২০১৮ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং ১০ বছরের সাজা পেয়েছিলেন। চতুর্থ ও পঞ্চম বন্দির পরিচয় জানা যায়নি।
ব্লিঙ্কেন লিখেছেন, তাদের মুক্তির সুবিধার্থে সরকার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি পাঁচজন ইরানি নাগরিককে মুক্তি দিতে এবং [দক্ষিণ কোরিয়ায়] বাজেয়াপ্ত প্রায় ৬০০ কোটি ডলার সমমূল্যের ইরানি অর্থ কাতারের অ্যাকাউন্টগুলোতে স্থানান্তরের অনুমতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেখানে এই অর্থ কেবল মানবিক বাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে ইরানকে এত বড় ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্তে রিপাবলিকানদের কাছ থেকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। তাদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে যখন মার্কিন সৈন্য এবং মিত্রদের জন্য ইরান যখন ক্রমাগত বড় হুমকি হয়ে উঠছে, তখন এই চুক্তি ইরানি অর্থনীতিকে আরও হৃষ্টপুষ্ট করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) আইওয়ার সিনেটর চাক গ্রাসলি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে ৬০০ কোটি ডলার মুক্তিপণ দিচ্ছে, এটি হাস্যকর। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব বন্দিকে আগামী সপ্তাহেই মুক্তি দেয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার