পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে ঝড়ের গতি ছুটে গেল নিশিমুরা ধূমকেতুর!
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৩ পিএম | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৩ পিএম
মাত্র এক মাস আগে সন্ধান মিলেছিল তার। এতো অল্প সময়ের মধ্যেই যে ফের তাকে দেখা যাবে, এমনটা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে আবির্ভূত হলেন তিনি। ফলে বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী।
গত মঙ্গলবার পৃথিবীকে অতিক্রম করে নিশিমুরা ধূমকেতু। অতি শক্তিশালী টেলিস্কোপে সেই ছবি লেন্সবন্দি করেন মহাকাশ গবেষকদের একাংশ। সূত্রের খবর, খালি চোখেও কিছু কিছু জায়গা থেকে সবুজ রঙের ধূমকেতুটিকে দেখা গিয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীকে অতিক্রম করার সময় নিশিমুরার দূরত্ব ছিল আনুমানিক ১২ কোটি ৫০ লাখ কিলোমিটার। ওই সময় ধূমকেতুটির ঘণ্টায় ২ লাখ ৪০ হাজার মাইল বেগে ছুটছিল। ফের এই ধূমকেতুটিকে ৪৩৭ বছর পর দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১১ অগাস্ট এই ধূমকেতুর সন্ধান পান জাপানি জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিদিও নিশিমুরা। অত্যাধুনিক একটি টেলিস্কোপ ক্যামেরায় এর ছবি তোলেন তিনি। তার নামেই ধূমকেতুটির নাম রাখা হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, নিশিমুরার আকার গোল। এটি মূলত বরফ ও বিভিন্ন ধরনের শিলা দিয়ে তৈরি। ধূমকেতুটি লম্বায় প্রায় এক কিলোমিটার বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা নাসা জানিয়েছে, এতো কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার নিশিমুরার দেখা পাওয়া রীতিমতো ভাগ্যের। পৃথিবীকে অতিক্রম করার সময় ধূমকেতুটিকে অতিরিক্তি উজ্জ্বল দেখিয়েছে। সূর্যালোকের কারণেই সেটা হয়েছে বলে অনুমান মার্কিন মহাকাশ গবেষকদের।
অন্যদিকে নাসার কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে প্যারিস মানমন্দিরের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী নিকোলাস বিভারের গলাতেও। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিশিমুরার ফের পৃথিবী অতিক্রম করার ঘটনাকে ব্যতিক্রমী ও বিরল বলেছেন তিনি। ‘অবিষ্কারের পর পর এত দ্রুত কোন ধূমকেতুকে এত পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। তবে পরবর্তী দর্শনের জন্য অনন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে। আগামী দু’তিন প্রজন্ম আর দেখতেই পাবে না নিশিমুরাকে,’ জানিয়েছেন ফরাসি জ্যোর্তিবিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার।
অন্যদিকে নিশিমুরাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ অধ্যাপক ব্রাড গিবসন। তার কথায়, ‘এই ধূমকেতু দেখার সুযোগ জীবনে একবারই আসে। আর এটা আমি একেবারেই বাড়িয়ে বলছি না।’ প্রসঙ্গত, প্রতি ৭৫ বছর পর পর পৃথিবীকে অতিক্রম করে হ্যালির ধূমকেতু। খালি চোখে এটিকে বহুবার দেখা গিয়েছে। হ্যালির ধূমকেতু লম্বা ঝাঁটার মতো লেজের কারণে বিখ্যাত। অন্যদিকে সবুজ রংয়ের কারণে অন্য ধূমকেতুর থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছে নিশিমুরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের