ঢাকা   বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ২৮ কার্তিক ১৪৩২

৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে বন্দি করেছে ইসলামিক জিহাদ

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩৮ এএম | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩৮ এএম

৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে বন্দি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ। ইসরায়েলে আটক থাকা সকল বন্দির মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এসব বন্দির প্রত্যাবাসন করা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালা রোববার বলেছেন- তার দল ৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে বন্দি করে রেখেছে। গত শনিবার হামাস ইসরায়েলে হামলা শুরু করার পর গাজা উপত্যকায় তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।

ইসরায়েলি কারাগারে আটক থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির কথা উল্লেখ করে আল-নাখালা আরও বলেন, ‘আমাদের সমস্ত বন্দির মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এসব বন্দিকে প্রত্যাবাসন করা হবে না।’

এর আগে গত শনিবার রাতে হামাসের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন হামলার সময় বহু ইসরায়েলি সৈন্যকে আটক করেছে তারা। আর সেটি ইসরায়েলি কারাগারে থাকা সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও স্বীকার করেছে যে, হামাসের হামলায় তাদের সৈন্য ও কমান্ডাররা নিহত হয়েছে এবং অনেককে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কতজন সেনাকে হামাস বন্দি করে নিয়ে গেছে তার কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

এছাড়া হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ভূখণ্ডটির ৪৪ সেনাসদস্য রয়েছে। ফিলিস্তিনি এ গোষ্ঠীর হামলায় প্রথমে ২৬ সেনা নিহতের তথ্য জানিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২২০০ ইসরায়েলি।

অবশ্য ইসরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও অনেক সেনা নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া হামাসের সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করে গাজায় নিয়ে গেছেন। সেখানে তারা কি অবস্থায় আছে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিকভাবে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলা শুরুর প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে গাজার এই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। পরে হামাসের শত শত যোদ্ধা স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়।

মূলত মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের এই অভিযান শুরু করে হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়েছে ইসরায়েল।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালে মিশরে অবস্থানকারী একদল ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর হাত ধরে ইসলামিক জিহাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। গাজা ভূখণ্ড, ইসরায়েলের দখল করা পশ্চিম তীর ও ইসরায়েল নামে পরিচিত ভূখণ্ড নিয়ে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই তাদের লক্ষ্য।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রধান দুটি যে সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে ইসলামিক জিহাদ, অপরটি হামাস। তবে সক্ষমতা ও আকারের দিক দিয়ে হামাসের চেয়ে তুলনামূলক বেশ ছোট ইসলামিক জিহাদ। সূত্র : রয়টার্স।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

স্বাধীনতা হারাতে পারে বিচার বিভাগ, বর্ধিত ক্ষমতা ও আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
চীনের সাথে চুক্তি সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী বিরল পদার্থ খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র
পোকরোভস্কের পতন, দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে ইউক্রেন
উদ্বোধনের কিছুদিন পরেই ভেঙে পড়ল চীনের সেতু, ভিডিও ভাইরাল
হুমকির মুখে নেতৃত্ব, সরানোর চেষ্টা হলে লড়াই করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
আরও

আরও পড়ুন

কমলগঞ্জে রেললাইনে স্লিপার ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা

কমলগঞ্জে রেললাইনে স্লিপার ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা

এবার ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন

এবার ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন

জাতীয় নির্বাচনে জটিলতা সৃষ্টির অর্থ পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ সুগম করা : তারেক রহমান

জাতীয় নির্বাচনে জটিলতা সৃষ্টির অর্থ পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ সুগম করা : তারেক রহমান

দিনাজপুরের হাকিমপুরে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তার্ণ ঔষধ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তার্ণ ঔষধ

স্বাধীনতা হারাতে পারে বিচার বিভাগ, বর্ধিত ক্ষমতা ও আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

স্বাধীনতা হারাতে পারে বিচার বিভাগ, বর্ধিত ক্ষমতা ও আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

কু‌ষ্টিয়া জেলা পরিষদের সা‌বেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরু‌দ্ধে দুদ‌কের মামলা

কু‌ষ্টিয়া জেলা পরিষদের সা‌বেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরু‌দ্ধে দুদ‌কের মামলা

রেলওয়ের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

রেলওয়ের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

নকলায় তিন বেকারিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

নকলায় তিন বেকারিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

নাশকতা প্রতিরোধে আমিনবাজারে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন

নাশকতা প্রতিরোধে আমিনবাজারে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন

খুলনার রূপসা নদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিঠুর লাশ উদ্ধার

খুলনার রূপসা নদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিঠুর লাশ উদ্ধার

এসি-ওসি স্যারের নির্দেশে আবু সাঈদকে গুলি করা হয়

এসি-ওসি স্যারের নির্দেশে আবু সাঈদকে গুলি করা হয়

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন: ডা. রানা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন: ডা. রানা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বিভাগের শিক্ষার্থী  সোনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বিভাগের শিক্ষার্থী সোনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরামর্শক নিয়োগের পাঁয়তারা

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরামর্শক নিয়োগের পাঁয়তারা

শেরপুরে আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়িতে হামলা: গ্রেপ্তার ২

শেরপুরে আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়িতে হামলা: গ্রেপ্তার ২

আ.লীগের কর্মসূচি উপেক্ষা করে গণপরিবহন চালানোর ঘোষণা মালিক সমিতির

আ.লীগের কর্মসূচি উপেক্ষা করে গণপরিবহন চালানোর ঘোষণা মালিক সমিতির

আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল ও পদায়নের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল ও পদায়নের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

ফেসবুক লাইভে প্রধান উপদেষ্টাকে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফেসবুক লাইভে প্রধান উপদেষ্টাকে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়া সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে অভিযান, ৭ জন আটক

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে অভিযান, ৭ জন আটক