আইন উপেক্ষা করে ভারতে দেয়া হচ্ছে গর্ভ ‘ভাড়া’
২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:০১ পিএম | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:০১ পিএম
আইনত নিষিদ্ধ হলেও অর্থের বিনিময়ে সারোগেট মা হয়েছেন, এমন বেশ কিছু ঘটনা কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে কলকাতা পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি শিশুপাচার চক্রের হদিশ পায়, যারা অর্থের বিনিময়ে সারোগেট মা খুঁজে দেয়ার মতো কাজও করত।
সেই চক্রের মূল চাঁই, এজেন্ট, সাব-এজেন্ট সহ প্রায় ১০০ জনকে ওই অভিযানে আটক করে পুলিশ। অভিযান চলাকালীন দক্ষিণ কলকাতার একটি নামকরা আইভিএফ ক্লিনিকের খোঁজও মেলে, যারা ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। সে সময় কলকাতা পুলিশ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিল, মমতা পাত্র নামে এক মহিলাকে তারা গ্রেফতার করেছে, যিনি নিজে অর্থের বিনিময়ে সারোগেট মা হয়েছিলেন। দক্ষিণ কলকাতার ওই আইভিএফ ক্লিনিকের সঙ্গে মমতার যোগাযোগ ছিল বলেও পুলিসের তরফে সে সময় সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তিনি এজেন্ট মারফত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের পয়সার বিনিময়ে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তাব দিয়ে যোগাযোগ করতেন বলেও জানানো হয়েছিল।
কলকাতা পুলিশ তখন বলেছিল, ৪০ থেকে ৫০ হাজার রুপির বিনিময়ে এজেন্টরা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের গর্ভধারণের জন্য রাজি করান। শিশুর জন্মের পরে, চার বা পাঁচ লাখ রুপির বিনিময়ে সদ্যোজাতকে দম্পতিদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই টাকার কিছু অংশ গর্ভদাত্রী মা পেলেও বেশির ভাগটা এজেন্ট, সাব এজেন্ট ও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত মূল অপরাধীদের হাতে চলে যায়।
বছর তিরিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি এই প্রথম বার সারোগেট মা হতে চলেছেন। এই মুহূর্তে তিনি সন্তানসম্ভবা। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সেই মহিলা বলেন, ‘আমি পরিচিত এক মহিলা মারফত এ বিষয়ে জানতে পারি। আমি সন্তানসম্ভবা, কয়েক মাসের মধ্যেই বাচ্চার জন্ম হবে। আমার নিজের ছোট একটি ছেলে রয়েছে।’ তিনি যে দম্পতির জন্য গর্ভধারণ করেছেন, বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরেও তারা আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানধারণ করতে পারেননি।
এর পাশাপাশি সুন্দরবনের গোসাবা অঞ্চলের ২৮ বছর বয়সী অপর একজন মহিলা জানান, সারোগেট মা হতে রাজি হওয়ার পেছনে কারণ হল স্বামীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবার ঋণে জর্জরিত। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে নেহাত পয়সার জন্যই সারোগেট মা হতে তিনি রাজি হয়েছেন।
কলকাতার বিশেষজ্ঞ সীমা লাল ‘অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকক্টিভ টেকনোলজি’ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করেছেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ‘সন্তানহীন দম্পতিদের, বিশেষত মহিলাদের, নিজস্ব মানসিক যন্ত্রণার পাশাপাশি নানান কটুক্তির শিকার হতে হয়। এই কারণে অনেকেই আজকাল আইভিএফ পদ্ধতিসহ বিভিন্ন অ্যা্সিসটেড রিপ্রোডাকক্টিভ টেকনোলজির সাহায্য নিচ্ছেন।’ সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা
ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ
অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য
আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী
পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?
‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?
গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম
মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী
কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা
প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য
সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি
সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি
তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার
নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন
ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত
থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব