ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১

পশ্চিম আন্টার্কটিকার বরফ গলে যাচ্ছে, সঙ্কটে সভ্যতা

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১০ পিএম | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১০ পিএম

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম আন্টার্কটিকার বরফের চাঁই নিয়ে কাজ করছেন। সম্প্রতি তারা জানিয়েছেন, যে বিপুল বরফ সেখানে জমে ছিল, তা ক্রমশ গলতে শুরু করেছে। চলতি শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত তা গলতে থাকবে। যার জেরে সমুদ্রে পানির উচ্চতা ক্রমশ বাড়বে।

 

সমুদ্র গবেষক কেইটলিন নটেন গবেষণাপত্রে লিখেছেন, ‘আমাদের গবেষণা একটি প্রশ্নকে সামনে রেখে এগিয়েছে। বরফ গলাকে কি কোনোভাবে আটকানো যায়? আদৌ কি তা সম্ভব?’ তিনি জানিয়েছেন, তাদের গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তা খুব সুখকর নয়। পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই যতটা বেড়েছে, তাতে আর চেষ্টা করেও বরফের শেল্ফ গলা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাদের গবেষণা বলছে, পুরো বরফ গলতে হয়তো একটা গোটা শতাব্দী লেগে যাবে, যার জেরে সমুদ্রে পানির স্তর অন্তত ৬ ফুট বেড়ে যাবে। তবে আগামী কয়েক দশকে বরফ গলার পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ ক্রমশ ফুলতে শুরু করবে। যার ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই সভ্যতা সঙ্কটের মুখে পড়বে।

 

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের এই দলটি প্রথম অত্যাধুনিক কম্পিউটারের সাহায্যে সাম্প্রতিক পরীক্ষাটি করেছে। তারা বরফের চাদরের নিচে গিয়ে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছে। সমুদ্রের পানি থেকে কত পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসৃত হচ্ছে, তা-ও পরীক্ষা করে দেখেছেন তারা। তারা জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে। যদি তার গতি কমানোও সম্ভব হয়, পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমানো সম্ভব হবে না। ফলে গলতে গলতে বরফের চাদরটি এক সময় ভেঙে পড়বে। আর তখনই ভয়াবহ এক সমস্যার মুখে পড়বে সভ্যতা।

 

২০০৯ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম জানিয়েছিলেন, পশ্চিম আন্টার্কটিকার বরফের চাদর ক্রমশ গলতে শুরু করেছে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা করেছেন, এত আধুনিক যন্ত্র এর আগে ওই অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়নি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী

আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী

পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?

পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?

‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?

‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?

গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ

গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম

মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি  -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী

মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী

কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা

কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা

প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য

প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য

সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি

সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি

সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি

সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি

তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার

তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার

নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন

নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন

ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত

ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত

থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব

থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব