গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সমগ্র অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কী ঘটবে তা কারও পক্ষে ধারনা করাও সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে, আজ মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলটি একটি অগ্নিগর্ভ বলয়ে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার ২০ দিন পরও হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের নেতৃত্বে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলার মাত্রা বেড়ে গেছে এবং তা আরও বাড়তে থাকবে।

হানিয়া দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা ‘দারুণভাবে’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা তাদের লক্ষ্যে অটল ও অবিচল রয়েছে। তিনি গাজার ওপর ইসরায়েলিদের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে তেল আবিবের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সম্ভাব্য সব কিছু করার জন্য মিত্র ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

হামাসের সর্বোচ্চ নেতা প্রতিরোধ আন্দোলনকে ‘জাতীয় স্বাধীনতাকামী আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই আন্দোলন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও এর অধিবাসীদের মুক্ত করার লক্ষ্যে লড়াই করছে। হামাসকে ‘উগ্রবাদী বলে ইসরায়েল সরকার ও তার পশ্চিমা দোসররা যে প্রচারণা চালাচ্ছে তার তীব্র সমালোচনা করেন ইসমাইল হানিয়া।

তিনি বলেন, যারা গাজার ওপর বর্বরোচিত আগ্রাসনকে সমর্থন করছে এবং চলমান গণহত্যার ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করছে তারাই বরং সন্ত্রাসী। হামাসের ন্যায়সঙ্গত প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি যারা উচ্চকণ্ঠে সমর্থন জানিয়েছে তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান মিসরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং’সহ সকল ক্রসিং খুলে দিয়ে গাজায় অতি জরুরি পণ্য পৌঁছানোর পথ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। হানিয়া বলেন, গাজায় কী প্রবেশ করবে আর কী প্রবেশ করবে না তা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ভাষণের শেষাংশে তিনি গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। সূত্র : প্রেস টিভি