ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে স্মরণকালের ভয়াবহতম হামলা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৬ পিএম

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস লক্ষ্য করে পর পর ৭টি মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে। শুক্রবার ভোরের দিকে সংঘটিত এই হামলাকে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। -রয়টার্স

হামলায় অবশ্য এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ইরাকের বিভিন্ন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হলেও এবারই প্রথম দূতাবাস লক্ষ্য করে হামলা ঘটল। ইরাকে মার্কিন দূতাবাসের কার্যালয়টি রাজধানী বাগদাদের কেন্দ্রে অবস্থিত। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টার দিকে দূতাবাসের কাছাকাছি প্রথম মর্টার শেলটি এসে পড়ে। তারপর দূতাবাসের ভেতরে ও বাইরে আরও ৬ টি শেল আঘাত হানে।

প্রথম মর্টার শেলটি আঘাত হানার পরপরই দূতাবাস কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আরও জানিয়েছে, মার্কিন দূতাবাসের পাশাপাশি এই দিন ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যালয়েও হামলা হয়েছে। তবে সেখানেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এখন পর্যন্ত হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি; তবে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুমান— ইরান সমর্থিত কাতাইব হিজবুল্লাহ কিংবা হারকাত হিজবুল্লাহ আল নুজাবা— এই দুই গোষ্ঠীর কোনো একটি এই হামলার জন্য দায়ী। দু’টি গোষ্ঠীই বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র ইসলামিক রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শাখা এবং বর্তমানে ইরাকে ব্যাপক সক্রিয়।

এদিকে শুক্রবার দূতাবাসে হামলার পর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শিয়া আল সুদানিকে টেলিফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ফোনালাপে তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশপাশি হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান। জবাবে আল সুদানি বলেন, ইরাকের নিরাপত্তা সংস্থা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল হামাস যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে সিরিয়া ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইরাকে সক্রিয় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠীর প্রায় সবই ইরানের সহায়তাপুষ্ট। মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তর পেন্টানগনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে মোট ৮৪টি ছোটো বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এসব হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান অভিযান শুরু করে মার্কিন বাহিনী। সেসব অভিযানে ইরাকে এ পর্যন্ত ১৫ জন এবং সিরিয়ায় ৭ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ইরাকের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে বর্তমান অবস্থান করছেন প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা। মূলত আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মাথাচাড়া দেওয়া রুখতেই ইরাকে রয়েছেন এই মার্কিন সেনারা।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা