জোশীমঠ বাঁচাতে ভাঙতেই হবে ১০০০ বাড়ি! তবু ঘর ছাড়ছেন না বাসিন্দারা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম

দার্শনিকরা বলেন, মানব সভ্যতার প্রধান লক্ষণ হল আত্মঘাত। ভারতের যোশীমঠের বাসিন্দারা সেই কথাই যেন প্রমাণ করছেন। হিন্দুদের ‘দেবভূমির দরজা’ যে ডুবন্ত তা আগেই জানিয়েছিল ভূতাত্ত্বিকরা। যার পর শহর বাঁচাতে একাধিক উদ্যোগ নেয় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসন।

 

সম্প্রতি জানা গিয়েছে শহর বাঁচাতে গেলে অবিলম্বে ভাঙতে হবে জোশীমঠের অন্তত ১০০০ নির্মাণ। ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই নির্মাণগুলিকে। যার অধিকাংশই সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি। যদিও নোটিস পেয়েও ঘর ছাড়ছেন না বাসিন্দারা। কেন?

 

জোশীমঠ যে একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, সেখানে যথেচ্ছ নির্মাণে বিপদ হতে পারে, তা প্রথমবার গত শতাব্দীর সাত এবং আটের দশকে জানিয়েছিল বিজ্ঞানীরা। যদিও সেকথায় পাত্তা দেয়া হয়নি মোটেই। বেসরকারি নির্মাণের পাশাপাশি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। এর পর ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জোশীমঠে বিপর্যয় দেখা দেয়। গোটা শাহরের একাধিক এলাকা বসে যায়। ফাটল ধরে অসংখ্য বাড়িতে।

 

সমস্যা সমাধানে সমীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের ৩৫ শতাংশ এলাকাই ‘হাই রিস্ক জোন’। অতিঝুঁকিপূর্ণ চারটি পৌরসভা এলাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলি অবিলম্বে খালি করতে হবে। কমপক্ষে ১০০০টি বাড়ি ভাঙার কথা বলা হয়েছে। যদিও দীর্ঘ দিনের আশ্রয় আঁকড়ে রয়েছেন বাসিন্দারা। নোটিস পাওয়ার পরেও বাড়ি ছাড়ছেন না। মায়ার টানে ঝুঁকি বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অতিক্তি লোক ভিড় করায় মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাননি

অতিক্তি লোক ভিড় করায় মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাননি

দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ চার জাহাজে হামলা হুতিদের

দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ চার জাহাজে হামলা হুতিদের

দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিনীর সদর দফতরে হামলা রাশিয়ার

দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিনীর সদর দফতরে হামলা রাশিয়ার

আমাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় কে?

আমাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় কে?

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-১

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-১

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-১

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-১

উচ্চতাপ বজ্র-ঝড় কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এ মাসেই

উচ্চতাপ বজ্র-ঝড় কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এ মাসেই

অবশেষে গ্রেফতার সেই ভয়ঙ্কর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দার

অবশেষে গ্রেফতার সেই ভয়ঙ্কর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দার

ধরা পড়েনি কিলিং মিশনের ১২ খুনি, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

ধরা পড়েনি কিলিং মিশনের ১২ খুনি, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

ওসির শেল্টারেই চেয়ারম্যান তপনের নানা অপকর্ম

ওসির শেল্টারেই চেয়ারম্যান তপনের নানা অপকর্ম

জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ আজ

জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ আজ

৭ জানুয়ারির নির্বাচন ’৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচন -ওবায়দুল কাদের

৭ জানুয়ারির নির্বাচন ’৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচন -ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সচিবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সচিবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

কাউকে ছাড় দেবে না বিএনপি

কাউকে ছাড় দেবে না বিএনপি

ওমরা পালনে সস্ত্রীক সউদী আরব গেছেন মির্জা ফখরুল

ওমরা পালনে সস্ত্রীক সউদী আরব গেছেন মির্জা ফখরুল

শনিবার মাধ্যমিকে রোববার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে

শনিবার মাধ্যমিকে রোববার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে

এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার

এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার

রাশিয়ার উপগ্রহ-বিরোধী পারমাণবিক অস্ত্র ভয়ঙ্কর হতে পারে : পেন্টাগন

রাশিয়ার উপগ্রহ-বিরোধী পারমাণবিক অস্ত্র ভয়ঙ্কর হতে পারে : পেন্টাগন

শিক্ষা ক্যাম্পাসজুড়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, চলছে গ্রেফতার-উচ্ছেদ

শিক্ষা ক্যাম্পাসজুড়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, চলছে গ্রেফতার-উচ্ছেদ