আইসিজে রায়ের পরে গাজায় ১৭৪ জনকে হত্যা করল ইসরাইল

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৬ এএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৬ এএম

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়ের পর গাজায় হামলা চালিয়ে ১৭৪ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে ৩১০ জন। এ নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ২৫৭ জনে। এছাড়া আহত হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন।

শনিবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার রায় শুক্রবার দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। হেগে আদালত ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে।

এগুলো হলো :
১. আদালত বলেছে, এই মামলায় আদেশ দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে তাদের।
২. আদালত গণহত্যা প্রতিরোধ করতে, গণহত্যার উস্কানির শাস্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলকে।

৩. গণহত্যা বন্ধ করতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

৪. অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরো মানবিক সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
৫. আদালত ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। তবে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দেয়নি।
৬. এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ে খুশি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর হতাশ হয়েছে ইসরাইল। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার যুক্তি মেনে নিয়েছে আদালত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির যে আদেশ দিতে বলেছিল আদালতকে, তা দেয়া হয়নি। এটা তাদের জন্য পুরোপুরি জয় আনেনি।

তবে আদালতের ১৭ জন বিচারপতির বেশিভাগই অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি নারীদের সুরক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। তাদের যাতে দৈহিক ও মানসিক কোনো ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় দিতে কয়েক বছর লেগে যাবে। তবে শুক্রবারের রায়ের ফলে গাজার ফিলিস্তিনিরা কিছু সুরক্ষামূলক রক্ষাকবচ পাবে।

এখন ইসরাইল কী করবে, তা দেখার বিষয়। আইসিজের রায় পালন বাধ্যতামূলক। তবে তা বাস্তবায়ন করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে ইসরাইল এই রায়কে তোয়াক্কা নাও করতে পারে। তবে কূটনীতিকরা এখন যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন উদ্যোগে কাজ করতে পারবেন।
সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

২৬ বছর পর ‘হারিয়ে যাওয়া কিশোরে’র খোঁজ মিলল প্রতিবেশির ঘরে

২৬ বছর পর ‘হারিয়ে যাওয়া কিশোরে’র খোঁজ মিলল প্রতিবেশির ঘরে

কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা

কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি

মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয়

মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির নাটকীয় জয়

ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম

নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম

মোদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতে নির্বাচনের চেষ্টা করছেন : কেজরিওয়াল

মোদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতে নির্বাচনের চেষ্টা করছেন : কেজরিওয়াল

রাজনীতিবিদের সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে হইচই

রাজনীতিবিদের সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে হইচই

‘কারা আগে যাবে’ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত তরুণ

‘কারা আগে যাবে’ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত তরুণ

সমীকরণ মেলানোর রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা শেষে চেন্নাইকে বিদায় করে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু

সমীকরণ মেলানোর রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা শেষে চেন্নাইকে বিদায় করে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু

ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ইউএসএসইসি-এর পিচ-টু-ফর্ক

প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ইউএসএসইসি-এর পিচ-টু-ফর্ক

স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন সমঝোতা

স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন সমঝোতা

বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

বিএনপি ভোট বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপি ভোট বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : শামসুজ্জামান দুদু

ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার

ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার

যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা

যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা

সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

পানির সংকট

পানির সংকট

নীতি ও দুর্নীতির লড়াই

নীতি ও দুর্নীতির লড়াই