ভারতে বেড়েছে পুলিশ হেফাজতে ধর্ষণ, বেশি যেখানে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৪ এএম | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
ভারতে ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে, হাসপাতালে বা রিমান্ড হোমে থাকাকালীন অন্তত ২৭৫ জন নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বলে সরকারি পরিসংখ্যানেই জানানো হয়েছে। সম্প্রতি‘কাস্টডিয়াল রেপ’ বা হেফাজতে থাকাকালীন (ওই ছয় বছরে নথিভুক্ত হওয়া) ধর্ষণের ঘটনার এই তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হেফাজতে থাকাকালীন সব চেয়ে বেশি ধর্ষণের অভিযোগ ভারতের যে রাজ্য থেকে মিলেছে সেটি হল উত্তরপ্রদেশ, আর তার পরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ।
উল্লিখিত, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে, জেলে, হাসপাতালে, রিমান্ড হোমসহ ‘হেফাজতে থাকাকালীন’ মোট ৯২টি ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে এবং ৪৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পরই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী, মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য এবং সমাজকর্মীরা।
প্রবীণ সমাজকর্মী শবনম হাশমি বলেছেন,‘নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। নারীদের দাবিয়ে রাখতে ধর্ষণকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়, সেটা হেফাজতে থাকাকালীন হোক বা বাইরে।’
তিনি জানান, তবে শুধু ধর্ষণ নয়, যারা অভিযুক্ত তাদের আড়াল করার যে ঘটনা আমরা একের পর এক দেখে আসছি তাও কিন্তু বাড়ছে।’
কী বলছে ওই পরিসংখ্যান?
সম্প্রতি ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো‘কাস্টডিয়াল রেপ’ বা পুলিশি হেফাজত, হাসপাতাল, সেফ হোমের মতো স্থানে নারীদের ধর্ষণের ঘটনার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের ৩৭৬ (২) ধারা অনুযায়ী ওই ধর্ষণের অভিযোগগুলি দায়ের করা হয়েছিল।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) ধারা তখনই লাগু করা হয় যদি ধর্ষণে অভিযুক্তরা পুলিশ কর্মী, জেলের কর্মী, সেনা কর্মকর্তা, হাসপাতালের কর্মী, হোমের আধিকারিক বা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশ হন।
হেফাজতে থাকা নারীদের সুরক্ষার দায়িত্ব ওই সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথা কর্মীদেরই।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য বলছে হেফাজতে থাকাকালীন ২০২২ সালে ২৪টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ২০২১ সালে ২৬টি, ২০২০ সালে ২৯টি, ২০১৯ সালে ৪৭টি, ২০১৮ সালে ৬০টি এবং ২০১৭ সালে ৮৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যের নিরিখে ‘হেফাজতে’ থাকা অবস্থায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ২০১৭ এর তুলনায় কমলেও ‘হেফাজতে’ থাকা অবস্থায় ‘নিরাপত্তা’ যে প্রশ্নের মুখে সে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্টরা।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ দু’টি রাজ্যই বিজেপি শাসিত।
সরব অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা
অধিকার আন্দোলনের কর্মী আলতাফ আহমেদ বলেন,‘এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। একজন নারী যিনি কারাগারে বন্দী, হাসপাতালে রয়েছেন বা হোমে আছেন, তার সুরক্ষার দায়িত্ব কিন্তু রাষ্ট্রের।’
‘যে মুহূর্তে আমি পুলিশ বা জেলের হেফাজতে আছি, ওই সময় থেকেই সমস্ত দায়দায়িত্ব তো রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়।’
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রতিবেদনে যে সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে তা দায়ের হওয়া ঘটনার অন্তর্ভুক্ত। দায়ের হয় না এমন অভিযোগের সংখ্যা বহু বলেই অ্যাক্টিভিস্টরা জানাচ্ছেন।
আলতাফ আহমেদ মনে করেন, হেফাজতে থাকাকালীন নারীদের ওপর এই অপরাধের ঘটনা এক ধরনের ‘দমননীতি'ও। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস এবং পশ্চিমবঙ্গের কামদুনির ধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গও।
‘নারীদের ওপর অত্যাচার করাটা তাদের দাবিয়ে রাখারও একটা পদ্ধতি। যেন একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করা যে অমুক কাজটা করলে কামদুনি বা হাথরাসের মতো ঘটনা হবে বলে চোখ রাঙানি এগুলো তো আমরা বাইরে শুনি।’
‘শাসকদল, মাফিয়া যে ভাষায় কথা বলে রাষ্ট্রও যদি একই ভাষায় কথা বলে তা হলে সেটা খুবই্ ভয়ের। যার হেফাজতে কাউকে রাখা হল সেই নির্যাতন করছে, বলছিলেন মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর কর্মী আলতাফ আহমেদ।
বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সম্পাদক কিরীটি রায় বলেন,‘জেলকে তো সংশোধনাগারে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে যদিও তা পালন করা হয় না। সেখানে সবাইকে অপরাধী বলেই দেখা হয় এবং সেখানে অপরাধই ঘটে।’
এবং এই সিস্টেমের মধ্যে যারা আছেন, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই দুর্নীতির সাথে যুক্ত। আর সমাজে নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসাবেই দেখা হয় বলছিলেন তিনি।
তার দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে রায় জানান, জেলে, থানায় বা অন্যত্র হেফাজতে থাকাকালীন এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়।
তার কথায়,‘আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এই ঘটনা প্রায়শই ঘটে। পুলিশের হাতেও যেমন ঘটে, একই ভাবে জেলের অন্য আবাসিকদের দ্বারাও নারী বন্দীরা নির্যাতিত হন।’
‘অভিযুক্তরা জেলে আসার আগে যে শারীরিক পরীক্ষা হওয়ার কথা সেটা হয় না। থানা, লকআপ, আদালতে যাওয়া-আসার পথে এবং জেলে বন্দিদের সাধে নির্যাতন হয়।’
কিরীটি রায় বলেন, আর অভিযুক্ত যদি নারী হন, তা হলে তো আরও মারাত্মক হয়। এই পুরোটাই হচ্ছে হেফাজতে থাকাকালীন। এবং চিত্রটা সমগ্র দেশের।’
‘এই পরিসংখ্যানে অবাক নই'
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের জেলে ফেরত যাওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তার উল্লেখ করেছেন সমাজকর্মী শবনম হাশমি।
তিনি বলেন,‘ধর্ষণের মতো অপরাধের ঘটনার পর অভিযুক্তদের বিচার হল, সাজা হল সেটা এক, আর সরকার তাকে আড়াল করছে, বাঁচানোর চেষ্টা করছে সেটা আরেক। একই ঘটনা আমরা দেখেছি হাথরাসের ক্ষেত্রে এবং বিলকিস বানোর মামলাতেও।’
‘অভিযুক্তদের শুধুমাত্র সাজাই মকুব করে দেয়া হয়নি তাদের সংবর্ধনাও দেয়া হয়েছিল। রাষ্ট্র যদি অভিযুক্তদের সাথে হাত মেলায় তাহলে তারা (অভিযুক্ত) আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এটা পুরো ভারতের চিত্র।’
শবনম হাশমি বলেন,‘উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও একই ছবি ফুটে উঠেছে। দুই রাজ্যেই একই সরকার ক্ষমতায়।তাই এই পরিসংখ্যান খুবই পীড়াদায়ক, কিন্তু এসব আমাকে আর অবাক করে না।’
হাসপাতাল বা রিমান্ড হোমের মতো স্থানেও একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ওই পরিসংখ্যানে রয়েছে। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে নারীকে একটা নির্দিষ্ট ভাবেই দেখা হয়, সেটা যেখানেই হোক। এবং নারীদের অবস্থান সমাজে উত্তরোত্তর নিচে নামছে। সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন ছাড়া তাদের আর কিছুই ভাবা হয় না। সম্মানের সাথে তাদের প্রতি আচরণ করা হয় না। লিঙ্গ সমতাও নেই।’
তার মতে নারী নির্যাতনের ঘটনা যে আগে ঘটত না তেমনটা নয়, তবে রাষ্ট্র তাকে এখন ‘প্রশ্রয়' দিচ্ছে সেটা সচরাচর দেখা যেত না।
‘বছর দশেক আগে যে এমনটা ঘটত না তা নয়। তবে, রাষ্ট্র তাকে প্রশয় দিচ্ছে সেটা এভাবে প্রকাশ্যে দেখা যেত না। ঘটনার নৃশংসতা এবং সংখ্যা বেড়েছে সেটা নিঃসন্দেহে ঠিক।’
মানবাধিকার কর্মী শবনম হাশমি বলেন,‘আরো দুঃখের বিষয় হল এই জাতীয় অপরাধ যেকোনো জায়গায় দেখা যাচ্ছে ইদানীং, তা সে হাসপাতালে হোক, পুলিশ বা জেল হেফাজত হোক বা রাস্তাঘাটে। তার কারণ রাষ্ট্র এতে মদত দিচ্ছে।’
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যগুলিতে কারাগারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পর‘অ্যামিকাস কিউরি' বা আদালত বন্ধু হিসেবে নিযুক্ত আইনজীবী তাপস ভঞ্জ কলকাতা হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন কারাগারগুলিতে থাকাকালীন নারী বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন এবং কারাগারেই তাদের সন্তানরা জন্ম নিচ্ছে। গত বছর পহেলা এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬ জন শিশু মায়ের সাথে সংশোধনাগারে রয়েছে।
নারী বন্দীদের নির্যাতনের ব্যাপারে রিপোর্ট আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এ জাতীয় ঘটনা এড়াতে কারাগারে পুরুষ কর্মীর প্রবেশ নিষেধ, জেলে প্রবেশের সময় প্রেগনেন্সি টেস্টসহ একাধিক সুপারিশও করেছিলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের কারামন্ত্রী অখিল গিরি অবশ্য জেলে নারী বন্দীদের সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পরিসংখ্যান দেখে এই মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের আদালত-বান্ধব প্রবীণ আইনজীবী গৌরব আগরওয়াল শীর্ষ আদালতকে জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা সংশোধনাগারে আসার আগেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বা প্যারোলে বাইরে গিয়ে সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ফেরেন।
দেশের সমস্ত কারাগারে নারী বন্দিদের পরিস্থিতির বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রতিবেদন পেশ করার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস গণনম। বিষয়টি ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী আটই মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান প্রকাশ হওয়ার পর আইনজীবী তাপস ভঞ্জ বলেন,‘এই ঘটনা তো নতুন নয়। পুলিশি বা জেল হেফাজতে থাকাকালীন যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ হতে পারে হয় থানায়, প্রিজন ভ্যানে যাতায়াত বা কারাগারে থাকাকালীন। কিন্তু ঘটনা সামনে এলে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দুষবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি একটি পুরনো ঘটনার উল্লেখ করেন ওই প্রবীণ আইনজীবী।
তিনি জানান,‘২০০২ সালে মূক ও বধির একটি মেয়েকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে যখন তাকে ফেরত আনা হয়, জেল সুপার লক্ষ্য করেন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।’
‘শেষ পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত পুলিশরা ৮ বছর জেলে থাকার পর খালাস পেয়ে যায়।
তিনি বলেন,‘তারা বলে প্রিজন ভ্যানে নয়, কারাগারেই ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। আসলে কোথায় এই ঘটনা ঘটছে সেটা প্রমাণ করাটা খুব কঠিন। আসলে সবাই নিজের ঘাড় থেকে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চায়।’ সূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিশ্ব সংগীত আসরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সংগীত শিল্পী সুমি
চার্টার্ড বিমানে করে অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
লেবানন থেকে মঙ্গলবার ফিরবেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
মেক্সিকোতে বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৯ আহত ৬
লুইসের বিধ্বংসী শতকে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
সুদানে মানবিক সংকট, ক্ষুধার জ্বলায় দেশ ত্যাগ
সউদী আরবের কোচ হয়ে ফিরছেন রেনার্ড
নাজমুলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি: ফাহিম
আজ থেকে মোহাম্মদপুরে হাউজিংগুলোতে বসবে সেনা ক্যাম্প
মোহাম্মদপুরে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় আটক ৪৫
বার্নাব্যুতেই রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে ধরাছোঁয়ার বাইরে বার্সালোনা
ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠছে ব্যালন ডি'অর?
হল্যান্ডের গোলে জিতে সবার উপরে সিটি
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত