আরও এক বিরল রোগের ঝুঁকি, ফের কাঠগড়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা
১৭ মে ২০২৪, ০৮:৪৭ এএম | আপডেট: ১৭ মে ২০২৪, ০৮:৪৭ এএম
অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই সামনে এল একটি নতুন দাবি। একজন ৪২ বছর বয়সী আমেরিকান মহিলা দাবি করেছেন যে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিন নেয়ার পর তিনি স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি আরও দাবি করেন যে তার অক্ষমতার কাপণ ওষুধ প্রস্তুতকারক তাকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে ব্যর্থতার কারণে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উটাহ থেকে ৪২ বছর বয়সী প্রাক্তন শিক্ষক ব্রায়ান ড্রেসেন বলেছেন, ২০২০ সালে একটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নেয়ার পর তিনি একটি গুরুতর স্নায়বিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর কথিত চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য তিনি মামলা করেন। তার অভিযোগ, তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা তাকে দেয়া হয়নি।
তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের পরই তার সারা শরীরজুড়ে পিন এবং সুঁচ ফোটার মতন তীব্র সংবেদন অনুভূত হয়। পরে তার পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি ধরা পড়ে। তার ওই অবস্থাকে পোস্ট ভ্যাকসিন নিউরোপ্যাথি হিসেবে ডায়াগনোস করা হয়। পোস্ট টিকা এটি একটি বিরল অবস্থা যেখানে টিকা দেয়ার পরে স্নায়ুর ক্ষতি হয়। যার ফলে ব্যাথা, টিংলিং এফেক্ট, অসাড়তা বা পেশী দুর্বলতার মতন উপসর্গ দেখা দেয়।
এটি ভ্যাকসিন দ্বারা ট্রিগার করা একটি ইমিউন প্রতিক্রিয়ার ফল বলে মনে করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি হয় মৃদু এবং অস্থায়ী। যার এক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু এই ধরের প্রতিকূল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আমেরিকান ওই মহিলা বলেন, ‘ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে হওয়া শারীরিক অবস্থার কারণে আমাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এখনও স্থায়ীভাবে অক্ষম।’ তিনি বলেন, ‘আমার এখনও সেই ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন আছে যে পিন এবং সূঁচের সংবেদন আমার সারা শরীরে অনুভব করছি। এটা হত ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহের সাত দিন।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিটিএস বা থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোমের ঘটনা স্বীকার করেছে। এটি হল একটি বিরল গুরুতর অবস্থা যা রক্তের জমাট বাঁধার সঙ্গে কম প্লেটলেট সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এর লক্ষণগুলি সাধারণত টিকা দেয়ার পরে দুই সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম হল প্রচণ্ড মাথাব্যাথা, পেটে ব্যাথা, পা ফুলে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট।
শুধুমাত্র ব্রায়ান নয়, ইউকেতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ভারতেো বেশ কয়েকজন ভুক্তোভোগীর অভিভাবক অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দাবানলে আবাসন হারালেন হলিউড হিলের যেসব তারকারা
শীতার্তদের মাঝে উঞ্চতা ছড়ালো ইবি 'তারুণ্য'
আমরা খেলাধুলার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি- অধ্যক্ষ এখলাস উদ্দিন খান
হাসিনার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাত নেই এটা ভারতও বিশ্বাস করে : জ্যাক সুলিভান
আশুলিয়ায় চাঁদা না দেয়ায় চা দোকানীকে গুলি, গ্রেপ্তার ৩
সরাইলে পলিথিন উৎপাদনকারিকে কারাদণ্ড
হাজীগঞ্জে অর্ধলক্ষাধিক জনসমাগমের উপস্থিতিতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
ফরিদপুরের ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড় হারিয়ে যাচ্ছে
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ৪ আগস্ট পরবর্তী হামলা হয়েছে পুলিশের তদন্তে প্রকাশ : প্রেস উইং
নগরকান্দায় কবরস্থানের জায়গা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
কুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ
লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের, আহত ৯
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয়, বরং সু-সম্পর্ক রয়েছে: ডা. তাহের
দাউদকান্দিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সুন্দরবন জুড়ে ফের দস্যু আতঙ্ক
আবারও ভারতীয় রুপির দরপতন
রাজবাড়ীর পদ্মায় বরশিতে ধরা পড়লো ১৬ কেজির বোয়াল মাছ
রাজবাড়ী ডিবেট এসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন
প্রথমবারের মতো মক্কার বাইরে পবিত্র কাবার সম্পূর্ণ কিসওয়া প্রদর্শন
মেশিন দিয়ে পানি ছিটিয়ে ধুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ভোলা পৌরসভা