ইউরোপের নির্বাচনে কড়া শরণার্থী নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে?
১৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম | আপডেট: ১৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেআইনি বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের যে উদ্যোগ চূড়ান্ত করলো, তার ফলে আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টার দক্ষিণপন্থি শিবিরের প্রতি সমর্থন কমবে বলে আশা করছে অন্যান্য দল।
আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি বহিরাগতদের রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নীতির ব্যাপক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিলো। মঙ্গলবার ইইউ অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নতুন বোঝাপোড়ার অংশ হিসেবে দশটি আইন অনুমোদন করেছে। সেই একক ইউরোপীয় নীতির আওতায় অবৈধ বহিরাগতদের ঢল সামলাতে এক গুচ্ছ পদক্ষেপ স্থির করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের আপত্তির কারণে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও সেটি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংস্কারের ফলে শুধু ইইউ-র সীমান্তবর্তী দেশগুলিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বোঝা সামলাতে হবে না, বাকিদেরও সংহতি দেখাতে হবে। কোনো সদস্য দেশ তাদের আশ্রয় দিতে না চাইলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ইউরোপের মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের ঠিক আগে অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ভোটারদের মন জয় করার আশা করছে। কট্টর দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট দলগুলি এতকাল মানুষের মনে বহিরাগতদের ঢল সংক্রান্ত উদ্বেগ কাজে লাগিয়ে সমর্থন আদায়ের যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, ইউরোপীয় স্তরে নতুন সমাধানসূত্র সেই হাতিয়ার কিছুটা হলেও ভোঁতা করে দেবে বলে অন্যান্য রাজনৈতিক শিবির মনে করছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালে সিরিয়া ও ইরাকের যুদ্ধের কারণে প্রায় এক কোটি বহিরাগত ইইউৃতে প্রবেশ করার পর জনসংখ্যার একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মনে বিষয়টি নিয়ে কড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
আগামী ৬ থেকে ৯ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় চরম দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট দলগুলির প্রতি যথেষ্ট সমর্থন দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পর বাকি দলগুলি নির্বাচনি প্রচারে বিষয়টি তুলে ধরে কতটা সমর্থন ফিরে পেতে পারে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই তা জানা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, যে ইইউ-র এই সংস্কারের উদ্যোগ ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। ভোটারদের মনে এতটা ধৈর্য আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। ২০২৩ সালে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ আইনি পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে প্রায় দশ লাখ মানুষ অনুমতি ছাড়াই ইইউ দেশগুলিতে বাস করছে। তার মধ্যে বৈধ ভিসা নিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে থেকে যাওয়া মানুষের ক্ষেত্রে নতুন সংস্কারের উদ্যোগ কার্যকর হবে না। অর্থাৎ গত বছর যে প্রায় তিন লাখ মানুষ বিনা অনুমতিতে ইউরোপে প্রবেশ করেছে, শুধু তাদের মতো অভিবাসন ও আশ্রয়প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রেই নতুন নিয়ম প্রয়োগ করা হবে।
ইউরোপের মানুষের উদ্বেগ কাটাতে বহিরাগতদের ঢল সামালানোর কড়া উদ্যোগ সম্পর্কে সমালোচনাও কম নয়। বহির্সীমানায় আটক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটক করা, এমনকি শিশুদেরও আঙুলের ছাপ নথিভুক্ত করার মতো ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক দূর হয় নি। আশ্রয়প্রার্থীদের ইউরোপ থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের আশ্রয় অধিকার খর্ব করতে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলির সঙ্গে ইইউ-র বোঝাপড়ার বিরুদ্ধেও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দাবানলে আবাসন হারালেন হলিউড হিলের যেসব তারকারা
শীতার্তদের মাঝে উঞ্চতা ছড়ালো ইবি 'তারুণ্য'
আমরা খেলাধুলার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি- অধ্যক্ষ এখলাস উদ্দিন খান
হাসিনার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাত নেই এটা ভারতও বিশ্বাস করে : জ্যাক সুলিভান
আশুলিয়ায় চাঁদা না দেয়ায় চা দোকানীকে গুলি, গ্রেপ্তার ৩
সরাইলে পলিথিন উৎপাদনকারিকে কারাদণ্ড
হাজীগঞ্জে অর্ধলক্ষাধিক জনসমাগমের উপস্থিতিতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
ফরিদপুরের ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড় হারিয়ে যাচ্ছে
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ৪ আগস্ট পরবর্তী হামলা হয়েছে পুলিশের তদন্তে প্রকাশ : প্রেস উইং
নগরকান্দায় কবরস্থানের জায়গা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
কুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ
লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের, আহত ৯
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয়, বরং সু-সম্পর্ক রয়েছে: ডা. তাহের
দাউদকান্দিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সুন্দরবন জুড়ে ফের দস্যু আতঙ্ক
আবারও ভারতীয় রুপির দরপতন
রাজবাড়ীর পদ্মায় বরশিতে ধরা পড়লো ১৬ কেজির বোয়াল মাছ
রাজবাড়ী ডিবেট এসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন
প্রথমবারের মতো মক্কার বাইরে পবিত্র কাবার সম্পূর্ণ কিসওয়া প্রদর্শন
মেশিন দিয়ে পানি ছিটিয়ে ধুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ভোলা পৌরসভা