ঢাকা   শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, পাকিস্তানে মা-মেয়েকে জীবন্ত কবর দেয়ার চেষ্টা

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ এএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ এএম

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এক মহিলা এবং তার কিশোরী কন্যা ঘরের ভেতরে বন্দি করে তার উপরের ইট গেঁথে জীবন্ত কবর দেয়ার চেষ্টা করেছিল তার আত্মীয়রা। শেষমেশ পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে মা ও মেয়ে উভয়কেই। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, পাকিস্তানের হায়দরাবাদের লতিফাবাদে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এমন মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটিয়েছে তার আত্মীয়রা। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় দেওয়াল ভেঙে মা-মেয়েকে উদ্ধার করেছে।

 

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ যে কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই ঘটনা। দেওয়াল থেকে উদ্ধারের পর ওই নিপীড়িত মহিলাটি জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তার দেওর সুহেল ওতাঁর ছেলেরা তাদের জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার দেওর সুহেলের কাছে তার জমির গুরুত্বপূর্ণ দলিল রয়েছে। প্রথমে তারা তার কাছ থেকে টেনে নিয়ে যায় দলিলগুলি। এরপর তাকে এবং তার শিশু কন্যাকে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। এবং তার উপর ঈট বালি সিমেন্ট দিয়ে একটি মোটা দেওয়াল গেঁথে দেয়।

 

তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন, সুহেল ও তার ছেলেকে পালিয়ে যেতে বলেন। মহিলা তার দেওরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। এবং দাবি করেছেন যে তিনি জোরপূর্বক তাদের বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি হেফাজতে নিয়েছেন। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়, তারা স্থানীয় সহায়তায় দেওয়াল ভেঙে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পুলিশ মামলা করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজ করছে।

 

এসপি ফারুক লিঞ্জার আশ্বস্ত করেছেন যে ভিকটিমদের আটক করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পাকিস্তানে সম্পত্তির বিরোধে রক্তপাত অতি সাধারণ ঘটনা। গত ২৪ মে পেশোয়ারের চামকানিতে সম্পত্তি বিরোধে পাঁচজন নিহত হয়েছিল। দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যার ফলে উভয় পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন নিহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

বন্য হাতি হামলা

বন্য হাতি হামলা

পলো বাওয়া উৎসব

পলো বাওয়া উৎসব

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে

শার্শায় আফিল জুট উইভিং ফ্যাক্টরি শ্রমিক নিহত

শার্শায় আফিল জুট উইভিং ফ্যাক্টরি শ্রমিক নিহত