ঢাকা   শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১

এবার রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হলো নিকাব

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম



পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিম নারীদের হিজাব ও নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা হয়তো হরহামেসাই ঘটে। এসবের বিপরীতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে প্রায়ই মুখ খুলতে দেখা যায় রাশিয়াকে। এবার সেই রাশিয়াই নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

এমন ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার দাগেস্তান রিপাবলিক অঞ্চলে। স্থানীয় সেক্যুলার সরকারের আপত্তি ওঠার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দাগেস্তান রিপাবলিকের ইসলামিক কর্তৃপক্ষ মুসলিম নারীদের নিকাব পরিধানের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত মাসে অঞ্চলটিতে একটি সশস্ত্র হামলার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিকাব হলো মুসলিম নারীদের একটি পোশাক যা তাদের পুরো মুখ ঢেকে রাখে শুধু চোখ ব্যতীত। মুসলিম ধর্মপণ্ডিতরা বলে থাকেন, এ ধরনের পোশাক নারীদের পর্দার অনুষঙ্গ। যদিও মুসলিম বিশ্বের সব জায়গায় তা মানা হয় না।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে দাগেস্তানের ডেপুটি হেড মুফতি আব্দুল্লাহ সালিমভ জানান, দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের জনগণের ওপর নিরাপত্তা হুমকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে রাশিয়ার জাতীয় নীতিমালা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে দাগেস্তানের ধর্মীয় নেতারা নিকাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সালিমভ জানান, মুফতি কাউন্সিল এক জরুরি বার্তায় জানাচ্ছে যে- চলমান হুমকি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত দাগেস্তানে মুসলিম নারীদের সাময়িকভাবে নিকাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ফতোয়াও জারি করেছে স্থানীয় ইসলামি কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) ফতোয়া বিভাগের প্রধান আখমেদ-খাদজি ইসায়েভ জানান, মুসলিম নারীদের নিকাব পরার ব্যাপারে ইসলামী আলেমদের মধ্যে কোনো সাধারণ ঐকমত্য নেই। এ সময় বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যাখ্যা ও ফতোয়ার আলোকে দাগেস্তানের মুফতিরা নিকাবের ওপর সর্বজনীন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কোনো বিষয় খুঁজে পাননি বলেও জানান তিনি।

ইসায়েভ জানান, স্থানীয় পরিস্থিতির আলোকে নিকাবের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া যেতে পারে। তবে স্থায়ীভাবে নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও বিরোধিতা করেন ফতোয়া বিভাগের প্রধান। গত মাসের শেষের দিকে দাগেস্তানের গভর্নর সের্গেই মেলিকভ নিকাব নিষিদ্ধ করার পক্ষে কথা বলেছিলেন। এ সময় তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এ ধরনের পোশাক ককেশাসের জনগণের মধ্যে এতিহ্যগতভাবে প্রচলিত নয়। দাগেস্তান গভর্নর জানান, এ ধরনের পোশাক পুরুষদে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করে এবং নারীদের এর আড়ালে অবৈধ জিনিস বহনে সহযোগিতা করে।

গত ২৩ জুনে দাগেস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর নেকাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ওই দিন বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী অর্থোডক্স গির্জা এবং একটি উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ২০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অসংখ্য।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

বন্য হাতি হামলা

বন্য হাতি হামলা

পলো বাওয়া উৎসব

পলো বাওয়া উৎসব

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে