ঢাকা   শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১

ইসরাইলি হামলায় খান ইউনিসে নিহত অন্তত ৭ ফিলিস্তিনি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম

 

 

গাজার খান ইউনিসের নাস শহরের হাসপাতালের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৭ ফিলিস্তিনি। এর কিছুদিন আগেই ইসরাইল আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত শহরের পূর্ব অংশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 

ইসরাইল অধিকৃত গাজায় মানবিক সহায়তা যাতে বাড়ে সেই নিয়ে বার্তাও দিয়েছেন জাতিসংঘ অফিসের প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো। তিনি জানিয়েছেন, ‘গাজায় কোথাও এবং কেউ নিরাপদ নয়’, এটি এমন একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে যেখানে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে যেখানে আছে সেই স্থান ছেড়েও যেতে পারে না। অর্থাৎ গাজাবাসীর পরিস্থিতি এখন খুব ভয়ানক।’

 

ইসরাইলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী,গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের আল কারারা, বানি সুহাইলা ও অন্যান্য এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ইসরাইলি আদেশের ভুক্তভোগী ২ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো মানুষ। গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখ পৌঁছেছে। খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল থেকে শত শত অসুস্থ ও আহত মানুষ পালিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন জানিয়েছেন, ইসরাইলি আক্রমণের হাত থেকে হাসপাতালটি যেন রক্ষা পায়, সেই অনুরোধই জানিয়েছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, টানা আট মাস পার হতে চলল। এখনও গাজায় হামলা বন্ধ করে নি ইসরাইল। ইসরাইলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঙ্গুত্বের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটা অথবা দুটো পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৩৮,০১১ জন নিহত এবং ৮৭,৪৪৫ জন আহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সূত্র: আল-জাজিরা।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

আগামী মৌসুমে নেইমারের গন্তব্য কোথায়?

আগামী মৌসুমে নেইমারের গন্তব্য কোথায়?

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

বন্য হাতি হামলা

বন্য হাতি হামলা

পলো বাওয়া উৎসব

পলো বাওয়া উৎসব

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে