জার্মানিতে এএফডি এগিয়ে থাকায় উদ্বেগে অভিবাসীরা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম

রোববার জার্মানির পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্য স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অভিবাসনবিরোধী এএফডি দল দুটো রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে বলে জরিপ বলছে। তাই বেশিরভাগ অভিবাসী উদ্বিগ্ন।

 

টুরিঙ্গিয়া শরণার্থী পরিষদে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করা নুর আর জুবি। ছয় বছর ধরে তিনি রাজ্যের গেরা শহরে বাস করছেন। প্রায় প্রতিদিন বর্ণবাদের শিকার হতে হয় জানিয়ে ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি কীভাবে এর সঙ্গে লড়তে হয়।''

 

তাই রোববারের নির্বাচনে এএফডি সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেও অন্য শহরে চলে যেতে চান না তিনি। জুবি জানান, টুরিঙ্গিয়া তার বাড়ি। সম্প্রতি ট্রেনে ভ্রমণের সময় একজনের কাছ থেকে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় দুজন জার্মান যাত্রী তাকে সমর্থনও করেছিল। তাই জুবি বলেন, ‘‘এএফডি ভোটারের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্বাগত জানানো জার্মানদের সংখ্যাও বাড়ছে।''

 

তিনি বলেন, এএফডি জিতলে রাজ্য ছেড়ে যেতে চান এমন কিছু মানুষকে চেনেন তিনি। আর এমন কিছু মানুষ আছেন যারা চলে যেতে চাইলেও তাদের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়। কারণ, আইনের কারণে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের অন্তত তিন বছর টুরিঙ্গিয়াতে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

 

টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে গত কয়েকবছর ধরে অভিবাসীদের প্রতিকূল পরিবেশের শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি আরেক রাজ্যে অবস্থিত জোলিঙেন শহরে ছুরি হামলায় তিনজন প্রাণ হারানোর ঘটনার পর অভিবাসনবিরোধী মনোভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

এএফডি জিতলে ‘‘আমাদের আরও বেশি বর্ণবাদের শিকারহতে হবে। বিষয়টা অপমান ছাড়িয়ে শারীরিক আঘাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে,'' বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জুবি।

 

জুবির শহর থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরের শহর ড্রেসডেনে থাকেন ইসমাইল দাভুল। তুরস্কে জন্ম নেওয়া দাভুল ২০০৬ সালে জার্মানিতে পড়তে এসেছিলেন। ১১ বছর ধরে তিনি ফরেনার্স কাউন্সিলে কাজ করছেন। তরুণ অভিবাসীদের সহায়তা করা তার কাজ।

 

রোববারের নির্বাচনে এএফডি জিতলে কী পরিবর্তন হতে পারে, এমন প্রশ্ন এখন তাকে প্রায়ই শুনতে হচ্ছে বলে ডিডাব্লিউকে জানান দাভুল। ‘‘সবাই আসলে ভয় পাচ্ছেন,'' বলেন তিনি।

 

দাভুল বলেন, অভিবাসীদের উপর হামলা অতীতে বিরল ঘটনা ছিল। তখন এমন ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমে তার সমালোচনা করা হতো। এখনও গণমাধ্যমে সমালোচনা হয়, তবে ততটা নয়। ‘‘এখন প্রায় প্রতিদিনই হামলার কথা শুনি। চেহারা, চামড়ার রং বা উচ্চারণ, বিভিন্ন কারণে হামলা হচ্ছে,'' বলেন তিনি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পাংশায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

পাংশায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

শফিক রেহমান-রহমান মুরুব্বী এক্সপোজড

শফিক রেহমান-রহমান মুরুব্বী এক্সপোজড

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাদের বাগোয়ান বাসীর সংবর্ধনা

মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাদের বাগোয়ান বাসীর সংবর্ধনা

জনগণের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন

জনগণের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন

কৃষির সাথে যেমন কৃষকের সম্পর্ক তেমনি দেশের জনগনের সাথে বিএনপির সম্পর্ক :  শামীম তালুকদার

কৃষির সাথে যেমন কৃষকের সম্পর্ক তেমনি দেশের জনগনের সাথে বিএনপির সম্পর্ক : শামীম তালুকদার

৪২ চার ও ১৬ ছক্কায় অপরাজিত ৩৪৬!

৪২ চার ও ১৬ ছক্কায় অপরাজিত ৩৪৬!

কুমারখালীতে টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ

কুমারখালীতে টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ

দেশের ৬০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও কৃষকের স্বার্থে কোনো সংগঠন গড়ে ওঠেনি'

দেশের ৬০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও কৃষকের স্বার্থে কোনো সংগঠন গড়ে ওঠেনি'

নিজের বিয়ে নিয়ে কি বললেন পড়শী

নিজের বিয়ে নিয়ে কি বললেন পড়শী

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সীমান্ত হত্যায় ব্যবহৃত চাকুসহ আরো এক আসামী  গ্রেফতার

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সীমান্ত হত্যায় ব্যবহৃত চাকুসহ আরো এক আসামী গ্রেফতার

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়লো

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়লো

৪২ মিনিটেই নেইমারের আয় ১০১ মিলিয়ন ইউরো

৪২ মিনিটেই নেইমারের আয় ১০১ মিলিয়ন ইউরো

ফেব্রুয়ারিতে পার্স-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইরান

ফেব্রুয়ারিতে পার্স-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইরান

মাগুরায় পিলখানা হত্যাকান্ডে হত্যাকারী ও পরকল্পনাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাগুরায় পিলখানা হত্যাকান্ডে হত্যাকারী ও পরকল্পনাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

কসাই থেকে নদীখেকো জাফর

কসাই থেকে নদীখেকো জাফর

পাঁচ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঁচ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পাঁচ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঁচ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ফ্যাসিবাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সক্রিয় ছিল ইবি ছাত্রদল

ফ্যাসিবাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সক্রিয় ছিল ইবি ছাত্রদল

সামনের বর্ষায় ঘাসে ঢাকা হবে রাজধানীর অনাবৃত সড়ক বিভাজন: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

সামনের বর্ষায় ঘাসে ঢাকা হবে রাজধানীর অনাবৃত সড়ক বিভাজন: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

মাদারীপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন