ঘরে ঢুকে ১২ বছরের বালকের ঘাড় কামড়াল নেকড়ে! ফের আতঙ্ক উত্তরপ্রদেশে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম

একের পর এক শিশুকে খেয়ে ফেলে ও ২৫ জনেরও বেশি মানুষকে আহত করে উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের আমজনতার ঘুম কেড়ে নিয়েছে নেকড়ের পাল। ক'দিন আগের ৩ বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। আর এবার ঘরে ঢুকে ১২ বছরের বালককে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল মানুষখেকো নেকড়ে। গুরুতর আহত হয়েছে সে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজের ঘরেই ঘুমোচ্ছিল ওই নাবালক। আচমকাই ঘরে ঢুকে তার ঘাড় কামড়ে ধরে তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি নেকড়ে। প্রচণ্ড চিৎকারে নাবালকের পরিবারের বাকিরা সজাগ হয়ে যায়। হইচই সৃষ্টি হলে নেকড়েও ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ওই নাবালক। তবে স্বস্তির খবর, তার অবস্থা সঙ্কটজনক নয়।

 

উত্তরপ্রদেশের বন দফতর মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ অভিযান চালু করেছে। চারটি নেকড়ে ধরা পড়লেও বাকি দুটোকে ধরতে অভিনব পন্থা নিয়েছে বন দফতরের কর্মকর্তারা। একেবারে সিনেমার কায়দায় পুতুল কিনে বাচ্চাদের মূত্রে ভিজিয়ে ফাঁদ পেতেছেন তারা। পাশাপাশি থার্মাল ড্রোন দিয়ে নেকড়েদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বাজি ফাটিয়ে, আওয়াজ তৈরি করে যেখানে ফাঁদ পাতা হয়েছে সেদিকে তাড়া করা হচ্ছে তাদের।

 

মোদী সরকারের একদা ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর প্রধান তথা বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা অবশ্য মনে করেন, এই কাজ সম্ভবত নেকড়েদের নয়। তার মতে, নেকড়ে লাজুক প্রকৃতির প্রাণী। মানুষকে আক্রমণের ঘটনাও কম। কিন্তু এখন এই ঘটনা কেন ঘটছে? বন দফতরের দাবি, মানুষের দ্বারা কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই নেকড়ের পাল। তারই 'প্রতিশোধ' নিচ্ছে তারা। নেকড়েদের ধরতে ইতিমধ্যেই ২২টি দল গড়া হয়েছে। সেই দলে আছেন নিশানায় দক্ষ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ড্রোন, নাইট ভিশন্‌স-সহ নানা আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে নজর রাখা হচ্ছে নেকড়েদের ওপর।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ভাই আটক

মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ভাই আটক

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেফতার

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেফতার

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত