রাশিয়ার ‘মূল’ লক্ষ্য ডনবাস মুক্ত করা: পুতিন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, ৩০ মাস যুদ্ধের পর ইউক্রেনে তার প্রধান লক্ষ্য ছিল পূর্ব ডনবাস এলাকা মুক্ত করা। তিনি দাবি করেছেন যে, কুরস্কে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ এটি সহজ করেছে।

 

রাশিয়া ইউক্রেনের পশ্চিম লাভিভ অঞ্চলে মারাত্মক হামলা চালানোর একদিন পর এবং ডনবাসে মস্কোর বাহিনীর সাম্প্রতিক অগ্রগতির পর পুতিন এ কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, ‘শত্রুদের (কুরস্কে) লক্ষ্য ছিল আমাদের উদ্বিগ্ন হতে বাধ্য করা, তাড়াহুড়ো করা, সৈন্য সরিয়ে দেয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, বিশেষ করে ডনবাসে আমাদের আক্রমণ বন্ধ করা, যার মুক্তি আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

 

রাশিয়া পূর্ব ডোনেটস্ক অঞ্চল এবং অন্য তিনটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে। মস্কো এই গ্রীষ্মে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হয়েছে এবং এর সৈন্যরা এখন পোকরোভস্ক শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে - পূর্ব ইউক্রেনের একটি প্রধান লজিস্টিক হাব যেখান থেকে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় এখন পালিয়ে গেছে।

 

পুতিন বলেছিলেন যে, কুরস্কে ‘বেশি শক্তিশালী ইউনিট’ পাঠানোর মাধ্যমে, ইউক্রেন ডনবাসে মস্কোর অগ্রগতি দ্রুত করেছে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, ‘শত্রুরা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিজেকে দুর্বল করেছে, আমাদের সেনাবাহিনী তার আক্রমণাত্মক অভিযানকে ত্বরান্বিত করেছে।’ পুতিন আরও দাবি করেছেন যে, মস্কোর সেনাবাহিনী কুরস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে তাড়াতে শুরু করেছে, যেখানে কিয়েভের সৈন্যরা প্রায় এক মাস ধরে শহর ও গ্রামে দখল করে রেখেছে।

 

পুতিন বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেছে এবং ধীরে ধীরে (শত্রু) আমাদের ভূখণ্ড থেকে বের করে দিতে শুরু করেছে।’ সূত্র: এএফপি।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার