নভোচারীদের স্পেসওয়াকের বিশেষত্ব কি?
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ এএম | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএস-এ যাওয়া নভোচারীদের কাজের প্রয়োজনে মহাকাশযানের বাইরে যেতে হয়। স্পেসওয়াক-এর মাধ্যমে সেটি করেন তারা। সেজন্য তাদের বিশেষ স্যুট পরতে হয়। কারণ, আইএসএস-এর বাইরে হাঁটা যেমন কঠিন, তেমন বিপদজ্জনক। স্টেশনটি যে উচ্চতায় ঘোরে সেখানে অনেক ঠাণ্ডা। এছাড়া কোনো বাতাসও নেই। মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরই মানুষ মরে যাওয়ার কথা।
শুধুমাত্র বিশেষ স্যুট পরেই নভোচারীদের বেঁচে থাকা সম্ভব। স্যুটটি দেখতে অনেকটা ছোট মহাকাশযানের মতো। পিঠে থাকা ব্যাগ নভোচারীদের শ্বাস নেওয়ার বাতাস দেয়। আর কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দেয়।
স্যুটে কয়েকটি স্তর থাকে যেন গ্যাস ঢুকতে বা বেরোতে না পারে, আর অতিরিক্ত চাপও যেন সহ্য করতে পারে। বাইরের স্তরটি অ্যালুমিনিয়ামের প্রলেপ দেয়া অগ্নি-প্রতিরোধী কেভলার তন্তু দিয়ে তৈরি। মাইক্রো-মিটিওরাইট ও সৌর বিকিরণ থেকে নভোচারীদের রক্ষা করে এই স্যুট।
নভোচারীরা বিশেষ পোশাক পরেন যার সঙ্গে টিউব লাগানো থাকে। এই টিউব দিয়ে ঠাণ্ডা পানি প্রবাহিত হওয়ায় নভোচারীরা অতিরিক্ত তাপ থেকে রক্ষা পান। আইএসএস-এ যাওয়ার আগে নভোচারীরা বিশেষ সুইমিংপুলে ট্রেনিং নেন। এইসময় ডাইভারদের মতো তাদের ১০০ কেজি ওজনের স্যুটের সঙ্গে আরও ওজন লাগানো থাকে, যেটি তাদের ভেসে থাকতে সহায়তা করে। অর্থাৎ মহাকাশের অবস্থা তৈরি করা হয়।
আইএসএস-এ ওজনহীন পরিবেশ থাকে। কারণ, এটি এত দ্রুত পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে যে, কেন্দ্রাতিগ বল ও মাধ্যাকর্ষণ একে অপরের ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রতি সেকেন্ডে এটি সাত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে! নভোচারীরাও একই গতিতে চলতে থাকেন। কিন্তু তারা সেটি টের পান না।
স্টেশনের বাইরে নভোচারীরা তাদের নিজস্ব অরবিটে থাকেন। ছোট ধাক্কা বা নড়াচড়ার কারণে অরবিট পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। সেটি হলে তাদের দূরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেমনটা এতদিন নভোচারীদের হারিয়ে ফেলা বিভিন্ন উপকরণের ক্ষেত্রে হয়েছে।
সেটি হলে নভোচারীদের পক্ষে নিজে নিজে ফিরে আসা সম্ভব নয়। সে কারণে মহাকাশযানের সঙ্গে তাদের সবসময় আটকে থাকতে হয়। নাসা ১৯৮৪ সালে বিশেষ ব্যাকপ্যাক পরীক্ষা করেছিল। বিভিন্ন কাজে নভোচারীরা যেন মহাকাশযান থেকে দূরে যেতে পারেন সেজন্য এর প্রয়োজন অনুভূত হয়েছিল। জরুরি পরিস্থিতিতে পড়লে নভোচারীরা তাদের অবস্থান স্থিতিশীল করতে থ্রাস্টার চালু করে মহাকাশযানে ফিরে যেতে পারেন।
আইএসএস-এর বাইরে কাজ করার সময় নভোচারীরা দুটি শিকল দিয়ে স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। শিকল ব্যবহার করে তারা নড়াচড়া করতে পারেন। তবে স্থান পরিবর্তনের সময় অন্তত একটি শিকলের সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত থাকতে হয়। আরও দূরে যাওয়ার জন্য নভোচারীরা রোবটিক হাত ব্যবহার করেন। নভোচারীদের নিরাপদে ধরে রাখার জন্য সেখানে বিশেষ প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস