গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতার প্রভাব জর্ডানের নির্বাচনে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম

জর্ডানের নির্বাচনে রেকর্ড আসন পেলো ইসলামিক দল ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট। গাজার ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল তারা। জর্ডানের পার্লামেন্টে সব মিলিয়ে ১৩৮টি আসন আছে। তার মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করেছে ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট (আইএএফ)। এই প্রথম পার্লামেন্টে এই পরিমাণ আসন পেলো তারা।

 

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গাজায় ইসরাইল আক্রমণ চালানোর পর থেকে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছিল এই দল। তারই প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ফলাফলে। জর্ডনে মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক মঞ্চ আইএএফ। উল্লেখ্য, জর্ডানের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ফলে গাজা নিয়ে আইএএফ জর্ডনে আন্দোলন শুরু করার পর বহু মানুষ সরাসরি তাদের সমর্থন করতে শুরু করেন। রাজনৈতিকভাবে জর্ডান যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু। ইসরাইলের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। তা সত্ত্বেও আইএএফ-এর এই জয় গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

 

শুধু ফিলিস্তিনের পক্ষে নয়, সরাসরি হামাসের পক্ষ নিয়ে জর্ডানে আন্দোলন করেছে আইএএফ। ইইউ-সহ বিশ্বের বহু দেশ হামাসকে জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে।

 

জর্ডান রাজতন্ত্রের দেশ। সুলতানই সেখানে শেষ কথা। কিন্তু ২০২২ সালে সেখানে নির্বাচনের নতুন আইন পাশ করা হয়। সে সময় পার্লামেন্টে ৪১টি আসন রাজনৈতিক দলগুলির জন্য সংরক্ষণ করা হয়। মূলত পার্লামেন্টে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্যই এই সংস্কার করা হয়েছিল। জর্ডনের পার্লামেন্ট দেশের আইন নিয়ে আলোচনা করে। সুলতানকে সে বিষয়ে প্রস্তাব দেয়। তবে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণের অধিকারী সুলতান।

 

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে ইসলামিক দলের এই বিপুল জয় সার্বিকভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ভোট পড়েছিল ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ, অধিকাংশ মানুষই ভোট দিতে যাননি। যারা গেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ইসলামিক পার্টিকে ভোট দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই ৩১ জন প্রতিনিধির মধ্যে ২৭ জন নারী।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন