ফের গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে হামলা ইসরাইলের! মৃত্যু ৩৪ জন ঘরহারার

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম

গাজায় জারি ‘হত্যাযজ্ঞ’। হামাস বনাম ইসরাইল যুদ্ধের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও থামেনি রক্তপাত। ইসরাইলি সেনায় হামলায় বুধবার প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি! হামাস যোদ্ধাদের দমন করার নামে জাতিসংঘের একটি স্কুল ও দুটি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছিল তেল আভিভ। এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জেরে ঘরবাড়ি হারিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু ফিলিস্তিনি। ইসরাইলের হামলায় স্কুলটির ৯০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

 

গাজায় যুদ্ধ থামানোর পথ খুঁজতে আন্তর্জাতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে। কিন্তু কিছুতেই থামছে না মৃত্যুমিছিল। হামলা জারি রেখেছে ইসরাইলি ফৌজ। অভিযান শুরু করার পর থেকে ইহুদি দেশটির সেনার অভিযোগ ছিল, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয়স্থান ও শরণার্থী শিবিরে লুকিয়ে রয়েছে হামাস যোদ্ধারা। তাই এই জায়গাগুলোতে আঘাত হানছে তেল আভিভ।

 

রয়টার্স সূত্রে খবর, এদিন গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে অবস্থিত জাতিসংঘের আল-জাউনি প্রিপারেটরি বয়েজ স্কুলে ‘অগ্নিবর্ষণ’ করে ইসরাইলি ফৌজ। আক্রমণ শানায় সেখানকার দুটি বাড়িতেও। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জন মহিলা-সহ ৩৪ জনের। প্রাণ গিয়েছে নিষ্পাপ শিশুদেরও। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আহতের সংখ্যা ১৮। এই ঘটনার পর ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী দাবি করে যে, ওই স্কুলে হামাস যোদ্ধারা লুকিয়ে ছিল। তাদের নাশকতার ছক ভেস্তে দিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।

 

মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনুস ও আল-মাওয়াসি শহরে ভয়ংকর আঘাত হেনেছিল ইসরাইলি সেনা। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই এলাকাগুলোকে সেফ জোন হিসাবে চিহ্নিত করে শরণার্থী শিবির তৈরি করা হয়েছিল। আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজারের উপর ফিলিস্তিনি। ওই হামলায় সেখানে মৃত্যু হয় অন্তত ৪০ জনের। উল্লেখ্য, গাজার পাশাপাশি এখন ইসরাইল ভয়ংকর হামলা চালাচ্ছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন