দস্তগীরের বানোয়াট প্রশ্নের সমুচিত জবাব দিলেন ম্যাথু মিলার

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক:

৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম

বানোয়াট ও একের পর এক মিথ্যা প্রশ্ন করে চরম অপমানিত হলেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক দস্তগীর। সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অপমান হন তিনি।

এসময় ম্যাথু মিলারকে দস্তগীর বিভিন্ন মিথ্যা প্রশ্ন করেন। মিলার একটুও বিচলিত না হয়ে সুন্দর করে উত্তর দেন। তিনি বলেন, আপনি এমন প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে চাইছেন যে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। হাইপোথেটিক্যাল কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো না।

হোয়াইট হাউস প্রেস ব্রিফিংয়ে ভুলভাল ইংলিশ দিয়ে দস্তগীর সব সময়ই আওয়ামী লীগের পক্ষে মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা মূলক প্রশ্ন করেন। এর আগে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর কাছে সব সময়ই তিনি পরাজিত হন। কিন্তু ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর তিনি দেশে চলে আসেন। পরে দস্তগীর আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে আরও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালান। যার কোনো ভিত্তি নেই। এতে দেশের সম্মান যেমন হানি হয়, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মান বিশ্ব দরবারে প্রশ্নের মুখে পড়ে।

দীর্ঘ সময়কাল ধরে দস্তগীর বিভিন্ন প্রোপাগান্ডামূলক প্রশ্ন করে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চেষ্টা করে আসছেন। অন্যদিকে ফজল আনসারীর বুদ্ধিদীপ্ত তীক্ষ্ণ ও দেশ প্রেমমূলক সঠিক তথ্যভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরগুলো প্রেস ব্রিফিং থেকে সব সময় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উত্তর প্রদান করেছে মার্কিন সরকার। এ ধরনের উদ্ভট মিথ্যাচার এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রোপাগান্ডা প্রশ্ন একটুও বিচলিত না হয়ে ম্যাথু মিলার বিরক্তির সাথে তার উদ্ভট দাবি নাকচ করে দেন।

একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এই সাংবাদিককে দেশদ্রোহী মামলা দিয়ে দেশে এনে বিচার করতে হবে। কারণ সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

আবার কেউ কেউ লিখেছেন, তার জায়গায় মুশফিকুল ফজলের মতো আরও এমন দীপ্তমান সাংবাদিক পাঠানো দরকার। তাহলে বেয়াদব ও উদ্ভট প্রশ্নকারী সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করতে পারবে না।

অন্য আরেকজন লিখেছেন, দস্তগীরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করছি। তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক