আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারল না সুপ্রিম কোর্ট
০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পাবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল না ভারতের শীর্ষ আদালত। তবে পাঁচ দশকের বেশি সময় আগে ১৯৬৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায় খারিজ করে দিয়েছে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ অবশ্য রায় দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। চার বিচারপতি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসাবে মর্যাদার পক্ষে রায় দিয়েছেন। বাকি তিন বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু তকমা পাবে কিনা তার মানদণ্ড স্থির করবে তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
১৯৬৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হারিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪ বছর বাদে ১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্রী ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছিল। ২০১৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ১৯৮১ সালের সংশোধনীকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দেয়। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু সংস্থার মর্যাদা পেতে পারে না। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা।
শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানিতে মোদি সরকারের তরফে জানানো হয়, তারা ১৯৮১ সালে কংগ্রেস সরকারের পাশ করানো সংশোধনী বাতিল করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিতে চায়। কেন্দ্রের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তার সওয়ালে বলেন, ‘১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।’
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সেনা পরিচালক পেল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে ব্র্যাকের কমিউনিটি ভিত্তিক পর্যটন প্রকল্প ‘অতিথি’র যাত্রা শুরু
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী স্বৈরাচারীদের এদেশে স্থান দেয়া হবে না
নিজ নগরেই ৯ বছর মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, গড়েছেন অঢেল সম্পদ
বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
মানুষের যে আশা-প্রত্যাশা ছিল তিন মাসে তা খুব একটা পূরণ হয়নি: শামসুজ্জামান দুদু
২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে: দুলু
ট্রাম্পের জয়ে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার আরেক ষড়যন্ত্র ফাঁস
বালু ব্যবসায়ীকে নিয়ে প্রতিবেদন করায় শিবচরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি
এই বাংলাদেশে যতবার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে জনগণ বিএনপিকেই জয়যুক্ত করেছে -এবিএম মোশাররফ হোসেন
বাংলাদেশে নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার কায়েম হতে দেওয়া হবে না -পীর সাহেব চরমোনাই
ডিভোর্সী মেয়েকে বিয়ে করায় ফ্যামিলি মেনে না নেওয়া প্রসঙ্গে?
ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফেতে জর্জ অরওয়েলের ‘১৯৮৪’ নিয়ে আলোচনা
জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে দেশে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না -মোস্তফা
বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসূল সা. এর জীবনাদর্শ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই
'আত্মহত্যা করেছেন বলিউড অভিনেতা নীতিন চৌহান'
কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা ও হামলার অভিযোগে শতাধিক দখলদারের বিরুদ্ধে মামলা
৭ নভেম্বরের পোস্টার ছিড়ে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন সমীচীন কাজ নয় : ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
কাবুলে তালিবানের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক ভারতের