আগালেগা দ্বীপে ভারতের ‘রানওয়ে ও জেটি’ নির্মাণ,দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পিএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পিএম
ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ আগালেগা,যা মরিশাস এর (আফ্রিকার মরিশাস দ্বীপ) একটি অংশ।সম্প্রতি এই দ্বীপ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বীপে মাত্র ৩৫০ জন লোক বাস করত, যারা মূলত মাছ ধরা ও নারিকেল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত।এখানকার মানুষের কাছে খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রতি চার মাস অন্তর একটি এয়ারস্ট্রিপ রাজধানী মরিশাস থেকে পাঠানো হতো।
২০১৫ সালে মরিশাস ও ভারত এক চুক্তি সই করে, যাতে ভারত আগালেগায় একটি ৩,০০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে ও একটি বড় জেটি তৈরি করার সুযোগ পায়।এর ফলে দ্বীপের কিছু বাসিন্দা আশঙ্কা করছেন যে,একটি সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত হতে পারে।আগালেগার একজন বাসিন্দা আরনাউদ পুলে,যিনি দ্বীপটির সামরিকীকরণের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন।তিনি বলেন,“আমার দ্বীপকে আমি ভালোবাসি,কিন্তু যখন আমি এই ঘাঁটির কথা জানতে পারলাম, তখন আমাকে দ্বীপ ছেড়ে যেতে হলো।”
আগালেগার উত্তরের দ্বীপটির একটি অংশে নতুন রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা দ্বীপটির উত্তর থেকে দক্ষিণের দুই গ্রামকে সংযুক্ত করেছে। এই রানওয়েতে ভারতের নৌবাহিনীর পি-৮আই বিমান দেখা গেছে, যা সামুদ্রিক নজরদারি ও সাবমেরিন শিকার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
দ্বীপের উত্তরের দিকে একটি নতুন জেটি নির্মিত হয়েছে, যা ভারতের জাহাজগুলোকে নোঙর করতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মরিশাস সরকার জানিয়েছে যে, এটি শুধুমাত্র স্থানীয় পুলিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে এবং সামরিক ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হবে না। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে,মরিশাস ও ভারত প্রাকৃতিক সহযোগী, যা সমুদ্র নিরাপত্তায় জন্য একসাথে কাজ করছে।
আগালেগার বাসিন্দার মধ্যে চাগোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে উচ্ছেদের অভিজ্ঞতার স্মৃতি রয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন যে, ভারতের এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে তারাও একদিন নিজ দ্বীপ ছেড়ে যেতে বাধ্য হবেন।
বর্তমান উন্নয়ন এবং দ্বীপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভারত ও মরিশাস সরকার কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।তবে, এই উন্নয়নের সুবিধা আদৌ স্থানীয়দের জন্য কীভাবে কাজে লাগবে,তা নিয়ে দ্বীপের বাসিন্দারা যথেষ্ট সন্দিহান।
বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক নিরাপত্তায় মরিশাস ও ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও,চুক্তির সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ না করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও দ্বীপের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ