কেন কপ ২৯ সম্মেলনে যোগ দিলেন না নরেন্দ্র মোদী?
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
কপ ২৯-এর শীর্ষবৈঠকে যোগ দিলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাচ্ছে্ন না পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবও। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি ১৮-১৯ নভেম্বর কপ ২৯-এ যাবেন বলে ঠিক আছে।
ভারতে এমনিতে প্রতিমন্ত্রীদের খুব একটা গুরুত্ব নেই। অধীর চৌধুরী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় বলতেন, প্রতিমন্ত্রীরা হলেন আধা-মন্ত্রী। ফলে একজন প্রতিমন্ত্রী কপ ২৯-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করায় প্রশ্ন উঠেছে, এই সম্মেলনকে কি গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত? ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ১৬ থেকে ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর করবেন। তিনি নাইজেরিয়া, ব্রাজিল ও গায়ানা যাবেন।
কাকতালীয় হলেও ঘটনা হলো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাও কপ ২৯-এ আসেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও কপ ২৯-এ যোগ দেননি। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও যাননি। এরপর পরিবেশ বিজ্ঞানী বিল হেয়ার বার্তাসংস্থা এপি-কে বলেছেন, পরিবেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাব দেখা যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদটাই নেই।
রিপোর্ট কি বলছে?
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার্স অফ কমার্সের রিপোর্ট বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত দশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির ক্ষতির পরিমাণ দুই ট্রিলিয়ান ডলারে পৌঁছেছে। এক ট্রিলিয়ান মানে একের পর ১২টা শূন্য। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, দুই নম্বরে আছে চীন ও তিন নম্বরে ভারত। ভারতের ক্ষতির পরিমাণ ১১ হাজার দুইশ কোটি ডলার। আর যে তিন দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের রাষ্ট্রপ্রধানরাই কপ২৯-এ যোগ দেননি।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব কেন কপ২৯-এ গেলেন না, সেবিষয়ে সরকারিভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, ভূপেন্দ্র যাদব মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের দায়িত্বে আছেন। আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তাই দলের তরফে ভোটের গুরুদায়িত্ব সামলাতে গিয়েই কপ২৯-এ তার যাওয়া হয়নি। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট বিজেপি-র কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যে বিজেপি-কে শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে এবং কংগ্রেস জোটকে হারিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। তাই ভূপেন্দ্র যাদবকে এই সময় মহারাষ্ট্রের বিষয়টিই দেখতে হবে।
ভারতের ঘোষণা
২০২২ সালে কপ২৬-এ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ২০৭০ সালে ভারত জিরো এমিশনের জায়গায় পৌঁছে যাবে। ভারতের লক্ষ্য হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্লিন এনার্জির পরিমাণ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে নেয়া। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের পরিস্থিতি হলো, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৪৫২ দশমিক সাত গিগাওয়াট। তার মধ্যে ৪৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কয়লা বা তেলের উপর নির্ভরশীল নয়।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টে ইলহাম আলিয়েভ
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত
রাস্তায় নামার পর আহতদের দেখতে গেলেন হাসনাত, ফেসবুকে সমালোচনা
দেশকে বিকলাঙ্গ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন শেখ হাসিনা: রিজভী
বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন
ভারতে ‘মেনোপজ’ মহিলাদের জন্য একটি উপেক্ষিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ
দোয়ারাবাজারে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে একজনের মৃত্যু
কানাইঘাটে আলোচিত মুনতাহা হত্যাকান্ডের আসামী কুতুবজান বিবির মৃত্যু
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সম্মেলন সফলের আহ্বান নেতৃবৃন্দের
সালথায় বিএনপি কর্মী হওয়ায় পায়নি ন্যায় বিচার, ৪ বছর পর একইভাবে কোঁপালেন আ.লীগ কর্মীকে!
ঠান্ডা মাথার পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ, খুন গুম আয়না ঘরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ
স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ার বন্যা, চলছে পায়পোর্টা শহরের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া
"এবার বুকার পুরস্কার পেলেন ব্রিটিশ লেখিকা সামান্থা হার্ভে"
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহ মারা গেছেন
জুলুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আসছে, "লাল মজলুম"
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
আমাদের ভুল-ত্রুটির কারণেই আহতরা সড়কে নেমে এসেছে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম পৌঁছল পণ্যবাহী জাহাজ
পপ গান ‘এপিটি’র কারণে দ.কোরিয়ায় সুনেউং পরিক্ষার্থীদের উদ্বেগ
পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টির হানা