শ্রীলঙ্কায় পরিবর্তনের আশায় বামপন্থী সরকারের জয়ে নতুন সম্ভাবনা
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ এএম
শ্রীলঙ্কার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে’র নেতৃত্বাধীন জাতীয় জনগণের শক্তি (এনপিপি) দলের পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।তার দল এবার জাতির মধ্যে পরিবর্তনের আশার সঞ্চার করেছে,বিশেষ করে মুসলিম এবং তামিল সম্প্রদায়ের মধ্যে,যারা বহু বছর ধরে অবহেলিত ছিল।তবে, প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করতে পারবেন?
শ্রীলঙ্কায় ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচন সারা দেশ থেকে আশাবাদী ভোটারদের সমর্থন পেয়েছে।এই নির্বাচনে এনপিপি দল ২২৫ সদস্যের সংসদে ১৫৯টি আসন জিতেছে,যা একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা।এর মাধ্যমে, তারা এককভাবে আইন প্রণয়ন করতে সক্ষম হবে,যা শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।দলটি একটি নতুন সাংবিধানিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,যা শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে এনপিপির জয় রাজনৈতিক পরিসরে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।দলের নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে, যিনি ২০২২ সালের প্রতিবাদ আন্দোলনে এক নতুন পরিচিতি লাভ করেছিলেন,জনগণের প্রতি দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।এনপিপির নেতা এবং কর্মীরা বলেছেন,তারা নতুন সরকার গঠন করে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।জনসাধারণ বিশেষত দেশের দরিদ্র অংশের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছে,যারা দীর্ঘদিন ধরে একই রাজনৈতিক নেতাদের ভোট দিয়ে এসেছে,কিন্তু পরিবর্তন দেখতে পাননি।
তবে, এর পাশাপাশি, এনপিপির উপর প্রত্যাশার চাপও রয়েছে, কারণ দেশটির টিএমএল এবং মুসলিম জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করতে হবে।শ্রীলঙ্কার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে তামিল জনগণের সমর্থনও ছিল গুরুত্বপূর্ণ,যেখানে তামিল দলগুলো দীর্ঘকাল ধরে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করছিল।এবার তামিলরা তাদের ভোট এনপিপির প্রতি দিয়েছে, যা একটি নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা করেছে।
পাশাপাশি তামিল এবং মুসলিম জনগণের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একে একে এসব সমস্যা সমাধান করতে না পারলে,সরকার সামনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।এই ফলাফল শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে, যেখানে জাতি ও ধর্মীয় বিভাজনগুলি শিথিল হতে পারে।
প্রসঙ্গত,এনপিপির বিশাল জয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে, তবে সেই পরিবর্তন বাস্তবে রূপ নেবে কি না, তা ভবিষ্যৎই নির্ধারণ করবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন