লাতিন আমেরিকায় চীনের নতুন মেগাপোর্ট উদ্বোধন ,সতর্ক দৃষ্টি যুক্তরাষ্ট্রের
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
বর্তমান বিশ্ব যখন অপেক্ষা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসা নিয়ে।অন্যদিকে ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক নতুন করে সম্পর্ক কতটা ঠিক থাকবে সেটা নিয়েও চিন্তিত।ঠিক তখনই চীন আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে যা লাতিন আমেরিকায় তার প্রভাব আরও শক্তিশালী করবে।চীনের তৈরি এক নতুন মেগাপোর্ট,যা উত্তর আমেরিকাকে পাশ কাটিয়ে এক নতুন বাণিজ্য পথ তৈরি করবে সেই প্রকল্পটি উদ্বোধন হয়েছে।
এই মেগাপোর্টটি পেরুর চাঞ্চাই শহরে অবস্থিত,যা সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোসকো শিপিং দ্বারা নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পটি ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের।প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে যখন পেরুতে বৈঠকের জন্য উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি মেগাপোর্টের উদ্বোধন করেন।এই সময়,তিনি পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের সাথে বৈঠক করেন এবং মেগাপোর্টকে "এশীয় বাজারের বিশাল প্রবাহের একটি কেন্দ্রবিন্দু" হিসেবে বর্ণনা করেন।
চাঞ্চাই পোর্টের মাধ্যমে পেরু, চিলি, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া এবং এমনকি ব্রাজিলের পণ্য সরাসরি চীন এবং এশিয়ার অন্যান্য বাজারে পাঠানো যাবে।এই নতুন মেগাপোর্টটি বৃহৎ জাহাজগুলোকে পরিবহন করতে সক্ষম,এবং শিপিংয়ের সময় ৩৫ থেকে ২৩ দিন পর্যন্ত কমিয়ে আনবে।এর ফলে এই অঞ্চলের বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারিত হতে পারে।তবে এই পোর্ট শুধু পণ্য রপ্তানির জন্য নয়,আমদানির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ,কারণ এটি চীনের সস্তা পণ্যগুলোকে দ্রুত দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জেনারেল লরা রিচার্ডসন সতর্ক করেছেন যে চাঞ্চাই পোর্ট চীনের জন্য একটি "দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য" স্থল হিসেবে কাজ করতে পারে,যেখানে ভবিষ্যতে চীনা নৌবাহিনীও অবস্থান নিতে পারে।এটি আমেরিকার জন্য এক বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরই মধ্যে, চীন তার বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রচুর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে,তবে সেসব প্রকল্পের সাফল্য সবসময় সুস্পষ্ট নয়।বহু উন্নয়ন প্রকল্প অসমাপ্ত রয়ে গেছে এবং অনেক দেশই চীনের ধার প্রদান শর্তে বেকায়দায় পড়ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন এটি বড় চ্যালেঞ্জ,কারণ দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণের জন্য চীনকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে।আমেরিকার সঙ্গে ল্যাতিন দেশগুলোর স্বাধীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আছে,এবং ট্রাম্প সরকার যদি সেই চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিল করে দেয়,তবে সেগুলো চীনের দিকে ঝুঁকতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো তাদের আঞ্চলিক স্ট্র্যাটেজির গুরুত্ব বুঝতে পারছে,এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে,এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে ভালো হবে যদি তারা একযোগে কাজ করে একটি শক্তিশালী কৌশল তৈরি করতে পারে।
এই ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা, এবং তা সামনে আরও বৃহত্তর প্রভাব ফেলতে পারে, যদি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল
আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের ১৮ বছর আজ
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী